বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হোয়াইট হাউজ ছাড়লেও জিগাতলায় থাকছেন ট্রাম্প

  •    
  • ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:০৮

ক্যাফের মালিক বলছেন, তাদের নাম বদলানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। ট্রাম্পের নামেই চলবে এই ক্যাফে। ভেতরে ট্রাম্পকেন্দ্রিক সাজসজ্জাও থাকবে আগের মতোই।

রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোড। নানা রকম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে অসংখ্য রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে।

এ রাস্তার জিগাতলায় যে নামে চোখ আটকে যায়, সেটি ট্রাম্প ক্যাফে। যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নামে এই ক্যাফে চলছে বছর তিনেক ধরে।

ট্রাম্প নির্বাচনে হারার পর সম্প্রতি হোয়াইট হাউজ ছেড়ে বাড়ির পথ ধরলেও এই ক্যাফের মালিক বলছেন, নাম বদলানোর কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। ট্রাম্পের নামেই চলবে ক্যাফে। ভেতরে ট্রাম্পকেন্দ্রিক সাজসজ্জাও থাকবে আগের মতোই।

ক্যাফের মালিক আজহারুল ইসলাম মিথুন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের ভক্ত, এমনটি বলা যাবে না। তবে তিনি বুঝেছিলেন, তুমল আলোচনা-সমালোচনা যাকে ঘিরে, তার নামে ক্যাফে চালু হলে গ্রাহক মনোযোগ কাড়বেই।

এভাবেই ঢাকার বুকে শুরু হয় ট্রাম্প ক্যাফের যাত্রা। মিথুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ক্যাফেটি প্রতিষ্ঠা করি ২০১৭ সালে। ট্রাম্পকে নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা, লেখালেখি। সবার এত আগ্রহ দেখে আমি ট্রাম্প ক্যাফে নামটি রাখি।’

বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্টের নামে ক্যাফে! স্বাভাবিকভাবেই দেশের সংবাদমাধ্যমে বেশ প্রচার পেয়েছিল। এমনকি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও খবর বেড়িয়েছে এই ক্যাফে নিয়ে।

প্রচারের সুবিধা নিয়ে জমিয়ে ব্যবসাও করেছে ট্রাম্প ক্যাফে। তবে সাম্প্রতিক নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে ট্রাম্প ধরাশায়ী হওয়ার পর এই ক্যাফের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদল জিগাতলার ক্যাফেতে কতটা প্রভাব ফেলেছে, সেটি জানতে ঢুঁ মেরেছেন নিউজবাংলার প্রতিবেদক।

ট্রাম্প ক্যাফেতে ঢুকতেই ডনাল্ড ট্রাম্পের বড় একটি ছবি চোখে পড়ে। ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকার সময় ক্যাফেতে যাওয়া অনেকেই এই ছবির পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতেন। ক্যাফে কর্তৃপক্ষ সেই সেলফির একটি বিবর্তিত নামও দিয়েছিল ‘ট্রাম্পফি’।

তবে ক্ষমতা বদলের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের সেই আগ্রহে বেশ ভাটা পড়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রায় এক ঘণ্টায় কাউকেই দেখা যায়নি ‘ট্রাম্পফি’ তুলতে।

ক্যাফের মালিক বলছেন, ট্রাম্প ক্ষমতা হারালেও ক্যাফে মোটেই গ্রাহক হারায়নি, বরং করোনার মধ্যেও ব্যবসা চলছে স্বাভাবিক সময়ের মতো।

ক্যাফের কর্মী আরিফুল ইসলাম সজল ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে একদম পছন্দ করেন না। তবে এই ক্যাফেতে কাজ করছেন মনের আনন্দে।

সজল জানান, ক্যাফের ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড রাখা হয়েছে ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের নামে। খাবারের নামও ট্রাম্পের নামে। যেমন: ট্রাম্প স্পেশাল থাই স্যুপ, ট্রাম্প স্পেশাল ক্যাশোনাট সালাদ, ট্রাম্প স্পেশাল ফ্রাইড রাইস, ট্রাম্প স্পেশাল বার্গার।

বিল পেমেন্ট কাউন্টারেও রয়েছে ট্রাম্পের ছবি। দেখে মনে হয়, সেবা নেয়া গ্রাহকদের হাসিমুখে বিদায় দিচ্ছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া হোয়াইট হাউজের ছবিও রয়েছে ক্যাফেটিতে।

ট্রাম্প তো আর ক্ষমতায় নেই, এখন কী হবে, এমন প্রশ্নে প্রতিষ্ঠানের মালিক মিথুনের মুখে হাসি ছড়িয়ে পড়ে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে ট্রেন্ডি একটা নাম। নামকরণ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিষ্ঠানের নামের পেছনে কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে। ট্রাম্প নামটি সেসব নিয়ে গবেষণা থেকে পাওয়া। এটা সামনেও পরিবর্তন হবে না।’

ক্যাফের এই নামের সুবাদেই মিথুনের যোগাযোগ হয়েছে আমেরিকার ট্রাম্প টাওয়ারের নিচে থাকা ট্রাম্প ক্যাফের মালিকের সঙ্গে।

মিথুন বলেন, ‘বাংলাদেশের ট্রাম্প ক্যাফে নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রচার ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক পোস্ট হয়েছে। তার জের ধরেই আমরা খুঁজে পেয়েছি আমেরিকার ট্রাম্প ক্যাফের মালিক ইসরায়েলি ভদ্রমহিলাকে। তারও ট্রাম্প ক্যাফে; আমাদেরও ট্রাম্প ক্যাফে। তার সঙ্গে আমার কুশল বিনিময় হয়েছে।’

সন্ধ্যা পার হতেই ট্রাম্প ক্যাফের কর্মীদের ব্যস্ততা বাড়তে থাকে। ডনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে যখন পুরোনো ব্যবসা জগতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তার নামে গড়ে ওঠা জিগাতলার ক্যাফে তখন গ্রাহকের পছন্দের খাবারের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত।

এ বিভাগের আরো খবর