‘বিশুদ্ধতা পরীক্ষায়’ উত্তীর্ণে ব্যর্থ হয়েছে ভারতের অধিকাংশ ব্র্যান্ডের মধু। এর মধ্যে রয়েছে প্রসিদ্ধ ডাবর হানি ব্র্যান্ড, যা বাংলাদেশের বাজারেও বিক্রি হয়।
ভারতের সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই) এ তথ্য দিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদসাধ্যম দ্য হিন্দু।
তাতে বলা হয়, ভারতীয় মধুর বিভিন্ন ব্র্যান্ড নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে সিএসই। ‘বিশুদ্ধতা পরীক্ষায়’ বেধে দেয়া হয় প্রায় ১৮টি শর্ত। ‘খাঁটি মধু’ দাবি করতে হলে ব্র্যান্ডগুলোকে অবশ্যই শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।
সিএসইর গবেষকেরা বাজার থেকে ১৩টি ব্র্যান্ডের কাঁচা ও প্রক্রিয়াজাত মধু নির্বাচন করেন। এর মধ্যে ডাবর ছাড়াও ছিল পতঞ্জলি, বৈদ্যনাথ ও জান্ডু ব্র্যান্ডের মধু। জাতীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক আইন অনুযায়ী ব্র্যান্ডগুলোর মধুর মান পরীক্ষা করা হয়।
অধিকাংশ ব্র্যান্ডের মধু ন্যূনতম মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বটে। কিন্তু আটকে যেতে হয়েছে নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স (এনএমআর) পরীক্ষায়। পণ্যের আণবিক স্তরে সঠিক সংমিশ্রণ নিশ্চিতে জার্মানির একটি ল্যাবে করা হয় এই পরীক্ষা।
তাতে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র তিনটি ব্র্যান্ডের মধু- সাফোলা, মার্কফেড সোহনা ও ন্যাচার’স নেক্টার (দুটি নমুনা পরীক্ষার একটিতে উত্তীর্ণ)।
ভারতীয় আইন অনুযায়ী, স্থানীয় বাজারে মধুর বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে এনএমআর টেস্টের দরকার পড়ে না। তবে রফতানির ক্ষেত্রে এই পরীক্ষার প্রয়োজন হয়।
মধুর ‘বিশুদ্ধতা পরীক্ষার’ যেসব ফল এসেছে তা হতবাক হওয়ার মতো বলে উল্লেখ করেছেন সিএসইর ফুড সেফটি অ্যান্ড টক্সিন বিভাগের প্রকল্প পরিচালক অমিত খুরানা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যা পেয়েছি, তা হতবাক হওয়ার মতো। ভেজালের এই ব্যবসা এমনভাবে বিকশিত করা হয়েছে, এগুলো ভারতে নির্ধারিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যেতে পারে…আমরা এটাও পেয়েছি, চিনির সিরাপের এমন রূপ দেয়া হয়েছে যে, তা শনাক্তই করা যায় না।’
তবে সিএসইর প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে বিবৃতি দিয়েছে ডাবর হানি। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, মধুর সঙ্গে চিনি সিরাপের ভেজাল ঘটায় না তারা। এ নিয়ে দ্য হিন্দুর খবরে তথ্যের কোনো সত্যতা নেই বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।