সাড়ে সাত মাস বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সুন্দরবন। ভ্রমণে দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ পাঁচটি শর্ত।
শনিবার সকালে এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক সুলতান আহমেদ।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের পক্ষ থেকে ট্রলার মালিকদের সঙ্গে আলোচনা সভা করছিলেন তিনি। সভায় সুন্দরবন কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ হাবিব, কোবাদক স্টেশনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনসহ ট্রালার মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
শর্তগুলো হচ্ছে- ট্রলারে ২০ জনের বেশি পর্যটক থাকা যাবে না, পর্যটকরা খাদ্য ছাড়া অন্য কোনো পণ্য সঙ্গে নিতে পারবেন না, ট্রলারে জীবাণুনাশক থাকতে হবে, থাকতে হবে বর্জ্য ফেলার ঝুড়ি এবং মাইক বা সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা যাবে না।
সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার ঘোষণায় স্থানীয় ট্রলার মালিক ও মাঝিদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। দীর্ঘদিন পড়ে থাকা নৌকা ও ট্রলার মেরামত করছেন তারা। ভ্রমণতরি ও লঞ্চ পরিষ্কার করা হচ্ছে। কোনো কোনোটিতে করা হচ্ছে আলপনা।
সহকারি বন সংরক্ষক সুলতান আহমেদ জানান, রোববার থেকে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের নিয়ম অনুযায়ী ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।
তিনি বলেন, ‘সাধারণত একটি বড় জাহাজে সর্বোচ্চ ৭৫ জনকে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অপারেটররা প্রয়োজনে কম পর্যটক নেবেন।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৯ মার্চ থেকে সুন্দরবনের পুরো অঞ্চলে পর্যটকদের যাতায়াত ও নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিল বন বিভাগ। মূলত অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সুন্দরবনে ভ্রমণ কার্যক্রম পরিচালনা করে ট্যুর অপারেটরগুলো। বিশেষ উৎসব বা ছুটির সময়ও প্যাকেজ ট্যুরের ব্যাবস্থা করে তারা।
বুড়িগোয়ালিনী ঘাটের ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, প্রায় সাড়ে সাত মাস বন্ধ থাকায় ভ্রমণ জাহাজ মালিকরা যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্যুর অপারেটররাও। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগবে।