বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবৈধ স্থাপনা বন্ধে অধিগ্রহণ প্রকল্পে ড্রোন

  •    
  • ১৭ আগস্ট, ২০২১ ২৩:০১

জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান জানান, অধিগ্রহণ কাজে ড্রোন ব্যবহারের ফলে সরকারি অর্থের অপচয় রোধ হবে। পাশাপাশি প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কোনোভাবেই যেন বঞ্চিত না হয় সেটিও নিশ্চিত হবে।

ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে ও দুর্নীতিরোধে দেশে প্রথমবারের মতো অধিগ্রহণ প্রকল্পে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর থেকে নাওডোবা পর্যন্ত প্রস্তাবিত চার লেন সড়ক প্রকল্প এলাকার ভিডিও করা হয়।

স্থানীয় লোকজন জানান, সড়ক প্রশস্ত করতে উভয় পাশেই জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ হাতিয়ে নিতে দুই পাশে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। রাতারাতি তোলা হচ্ছে ঘর। লাগানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ। নির্মাণ করা হচ্ছে কারখানা ও খামার।

জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান নিউজবাংলাকে জানান, অধিগ্রহণ কাজে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সরকারি অর্থের অপচয় রোধ হবে। পাশাপাশি প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কোনোভাবেই যেন বঞ্চিত না হয় সেটিও নিশ্চিত হবে।

তিনি আরও জানান, ঢাকা বিভাগের কমিশনার খলিলুর রহমানের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ নিয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যারা নতুন ঘর নির্মাণ করেছেন ভিডিও দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারব। এতে অধিগ্রহণ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের যে হিড়িক ছিল তা বন্ধ হবে। শুদ্ধাচার চর্চায় অনন্য নজির স্থাপনে জেলা প্রশাসন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, ‘শরীয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা (পদ্মা সেতুর সংযোগ) সড়ক উন্নয়ন’ নামে প্রকল্পটি ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদন পায়। একই বছর অক্টোবরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রশাসনিক চিঠি পায় শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

এ প্রকল্পের আওতায় তিনটি প্যাকেজে ২৭ কিলোমিটার সড়ক, ২৭টি কালভার্ট ও ২টি সেতু নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ২৩১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ধরা হয়েছে জমি অধিগ্রহণে।

সড়কের জন্য শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনকে ১০৫ দশমিক ৫৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে সড়ক বিভাগ। জমি অধিগ্রহণে নোটিশও জারি করে প্রশাসন।

এই নোটিশের পর থেকেই প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার জমিতে তোলা হয়েছে ঘরবাড়ি। রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির শত শত চারাগাছ। সমিল, মাছের খামার, পোলট্রি খামারসহ বিভিন্ন স্থাপনাও নির্মাণ করা হয়েছে।

স্থাপনা থাকলেও এগুলোতে নেই কোনো মানুষ। দরজায় দরজায় ঝুলছে তালা।

এ বিভাগের আরো খবর