বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীমনি, পিয়াসা, হেলেনাদের মামলার প্রতিবেদন দেড় মাসে

  •    
  • ২৪ আগস্ট, ২০২১ ১৫:০৪

সিআইডি প্রধান বলেন, ‘পরীমনি, হেলেনা জাহাঙ্গীসহ বেশ কয়েজনের ১৫টি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আসামি ও স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ পর্যায়ে। ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পেলে আগামী ১ থেকে দের মাসের মধ্যে পুলিশি প্রতিবেদন জমা দেবে সিআইডি।’

অভিনেত্রী পরীমনি, পরিচালক-প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, মডেল পিয়াসা ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরের ১৫টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গুছিয়ে আনছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিষয়ক সংস্থা সিআইডি। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে মামলাগুলোর প্রতিবেদন জমা দেয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।

মালিবাগে মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান সিআইডি প্রধান মাহবুবুর রহমান। বলেন, ‘পরীমনি, হেলেনা জাহাঙ্গীসহ বেশ কয়েজনের ১৫টি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আসামি ও স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ পর্যায়ে। ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পেলে আগামী ১ থেকে দের মাসের মধ্যে পুলিশি প্রতিবেদন জমা দেবে সিআইডি।

‘অভিযুক্তরা ছাড়াও তদন্ত সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদের-যাদের ডাকার প্রয়োজন তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আপাতত আর কাউকে ডাকার পরিকল্পনা নেই আমাদের।’

এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডি বলেন, ‘আর্থিক অপরাধের বিষয়ে তদন্তে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আমরা তথ্য চেয়েছি। তবে তদন্তের প্রয়োজনে আমরা এখনই সব বলতে চাচ্ছিনা।’

পরিমনীকে একাধিকবার রিমান্ডের নেয়ার বিষয়ে সিআইডি প্রধান বলেন, ‘প্রথমবার আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিনি। দিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে কিন্তু তাকে আর রিমান্ড চাওয়া হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া কিছু তথ্য মেলানোর প্রয়োজন ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে আবারও রিমান্ডে চাই। সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার বিষয়ে ভুলের ঊর্ধ্বে থাকতে চায়। তাই তদন্তের প্রয়োজনেই সব করা হচ্ছে।’

১৫ মামলার আসামি পরীমনি বা পিয়াসাদের বাসায় মাদক মজুদ ও মাদক রাখা সংগ্রহ করার ব্যাপারে কী ধরনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি, জানতে চাইলে অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুবুর রহমান বলেন, মাদক মামলার আলামত তো পজেশনেই পাওয়া গেছে। সেগুলো আদৌ মাদক কিনা তা জানতে ক্যামিকেল ও ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।

জব্দ মাদকের উৎস সম্পর্কে জানা গেছে কি না, এমন প্রশ্নে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘অনেকেই অনেক রকম তথ্য দিয়েছেন। কেউ বলেছেন বিদেশ থেকে নিয়ে এসেছেন, কেউ বলেছেন বিমানবন্দর থেকে কিনেছেন, কেউ নানা উপায়ে সংগ্রহ করেছেন। যেখান থেকেই সংগ্রহ করা হোক না কেন, এসব মাদক অনুনোমোদিত উপায়ে সংগ্রহে রাখা বা মজুদ রাখা আইনত অন্যায়।’

১৫ মামলার আসামি কোনো ফিন্যানসিয়াল ক্রাইমের সঙ্গে যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানালেন সিআইডি প্রধান। তিনি বলেন, ‘মানি লন্ডারিং মামলার ক্ষেত্রে দুটি পর্যায়। একটি যাচাই বাছাই, আরেকটি ইনকুয়ারি। আমরা ইনকুয়ারি পর্যায়ে আছি। প্রায় ২২টি জায়গা থেকে রিপোর্ট পেতে হয়। সব রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর যদি মনে হয় মানি লন্ডারিং হয়েছে তাহলে আমরা তদন্ত করব।’

এ বিভাগের আরো খবর