বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইকামার মেয়াদ বাড়াল সৌদি

  •    
  • ২৫ মে, ২০২১ ২১:০৩

দেশটির বিভিন্ন খাতে কাজ করা বিদেশি কর্মীদের পাশাপাশি পর্যটকরাও এ সুবিধা পাবেন। সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ মেয়াদ বৃদ্ধি পাবে বলে নিশ্চিত করেছে সৌদি প্রেস এজেন্সি।

প্রবাসী কর্মীদের জন্য সুখবর দিল সৌদি সরকার। করোনার কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও যারা সৌদি আরব যেতে পারছেন না, তাদের জন্য ইকামার (রেসিডেন্সি পারমিট) মেয়াদ আগামী ২ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে দেশটি।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ বিনা মূল্যে ইকামা বৃদ্ধির এ ঘোষণা সোমবার দেন বলে জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি।

দেশটির বিভিন্ন খাতে কাজ করা বিদেশি কর্মীদের পাশাপাশি পর্যটকরাও এ সুবিধা পাবেন। সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ মেয়াদ বৃদ্ধি পাবে বলে নিশ্চিত করেছে সৌদি প্রেস এজেন্সি।

বাদশা সালমানের নির্দেশনায় এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয় বিনা মূল্যে ইকামা ও ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন করে।

দেশের নাগরিক ও বসবাসকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রশমনের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় এই সংবাদমাধ্যম।

সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিদেশি নাগরিকদের সৌদি ভ্রমণে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে দেশটির সরকার।

এতে বলা হচ্ছে, দেশটিতে ভ্রমণ করতে যাওয়া সব বিদেশি নাগরিককে বাধ্যতামূলকভাবে কোভিড চিকিৎসাসংক্রান্ত ইনস্যুরেন্স করতে হবে। এই ইনস্যুরেন্সের আওতায় হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিনের খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসগুলোকে। দেশটিতে যেতে চাওয়া যাত্রীদের ভ্রমণের প্রথম ও সপ্তম দিন পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থাও এয়ারলাইনসকে করতে হবে বলে শর্ত দেয়া হয়েছে।

ফ্লাইটের যাত্রীদের তালিকাও এয়ারলাইনসকে যাত্রার চার দিন আগে দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে সৌদি আরব। নতুন এই শর্ত কার্যকর হয়েছে ২০ মে। এ অবস্থায় ২৯ মে পর্যন্ত দেশটির সব গন্তব্যে ফ্লাইট বাতিল করেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান।

সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের ফলে বিপাকে পড়েছেন ছুটিতে দেশে আসা প্রবাসী কর্মীরা। টিকিট কেটেও দেশটিতে যেতে পারছেন না তারা। অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে হোটেল বুকিং দেয়ার পর জানতে পেরেছেন নির্দিষ্ট একটি অ্যাপের মাধ্যমে বুকিং না দিলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এদের অনেকেরই ইকামার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের যাওয়াও অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

বিমান ছাড়া ঢাকা থেকে দেশটির বিভিন্ন গন্তব্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস ও নাস এয়ার। কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত না করতে পারায় টিকিট কেটে যেতে পারেননি অনেক যাত্রী।

যে দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আসে, এর শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটির বিভিন্ন শহরে বর্তমানে ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে কাজ করছেন। গত অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে এসেছে ৪০০ কোটি ৫১ লাখ ডলারের রেমিটেন্স। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রেমিটেন্স এসেছে ৪৭৯ কোটি ৫৩ লাখ ডলার।

শুধু কাজের জন্য নয়, এর বাইরে হজ ও ওমরাহ করতেও বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি সৌদি আরবে যান। ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হলে ভোগান্তি বাড়ে যাত্রীদের।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছিল সৌদি আরব। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ছিল ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফ্লাইট না থাকায় ছুটিতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশকে অনিশ্চয়তায় পড়তে হয়েছিল। পরে অবশ্য সরকারের মধ্যস্থতায় সমস্যার সমাধান হয়।

এ বিভাগের আরো খবর