বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিনেমা-নাটকে ধূমপানের দৃশ্য বন্ধ নয় কেন: হাইকোর্ট

  •    
  • ১৭ আগস্ট, ২০২১ ১৯:১০

রিটকারী আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন বলেন, “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার সম্পর্কিত এমন অনেক দৃশ্য অন্যান্য নাটক-সিনেমায়ও পাওয়া যাবে। ফলে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য প্রণীত আইনটি শুধু গ্রন্থগত ‘কালো অক্ষর’ হয়েই আছে। এ বিষয়টি আমরা আদালতে তুলে ধরেছি।”

নাটক-সিনেমায় প্রধান চরিত্রসহ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ের সময় শিল্পীদের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বন্ধের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেয় বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাসচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্যসচিব ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

৩ ফেব্রুয়ারি সিনেমা-নাটকে প্রধান চরিত্রসহ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ের সময় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে আইন মেনে করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করে বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, মাদকবিরোধী সংগঠন ‘প্রত্যাশা’, গ্রাম-বাংলা উন্নয়ন সংস্থা এবং পপুলেশন ডেভেলপমেন্ট (পিডিও) নামে চারটি সংগঠন।

মঙ্গলবার ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করে আদালত।

রিটকারী আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নাটক-সিনেমায় অভিনয়ের সময়ে মাদকবিরোধী আইন বাস্তবায়ন বা মনিটরিং না করায় উষ্মা প্রকাশ করেছে আদালত।

রিটে শাকিব খান অভিনীত ‘শাহেনশাহ’ চলচ্চিত্র উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সিনেমার একাধিক দৃশ্যে সিগারেট খাওয়ার দৃশ্য ব্যবহার করা হলেও কোনো সতর্কবার্তা ব্যবহার করা হয়নি। বরং নানা রঙে-ঢঙে একে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে।’

আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন বলেন, “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার সম্পর্কিত এমন অনেক দৃশ্য অন্যান্য নাটক-সিনেমায়ও পাওয়া যাবে। ফলে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য প্রণীত আইনটি শুধু গ্রন্থগত ‘কালো অক্ষর’ হয়েই আছে। এ বিষয়টি আমরা আদালতে তুলে ধরেছি।”

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫-এর ৫ (১) (ক) বলা হয়েছে ‘প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বাংলাদেশে প্রকাশিত কোনো বই, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, পোস্টার, ছাপানো কাগজ, বিলবোর্ড বা সাইনবোর্ডে বা অন্য কোনোভাবে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না।

একই আইনের ধারা ৫(১) (ঙ) তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে তৈরি বা পাওয়া ও প্রচারিত, বিদেশে তৈরি কোনো সিনেমা, নাটক বা প্রামাণ্যচিত্রে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য টেলিভিশন, রেডিও, ইন্টারনেট, মঞ্চ অনুষ্ঠান বা অন্য কোনো গণমাধ্যমে প্রচার, প্রদর্শন বা বর্ণনা করা যাবে না।

এ বিভাগের আরো খবর