কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়- তোমার কণ্ঠে রাখিয়া এসেছি মোর কণ্ঠের গান/ এইটুকু শুধু রবে পরিচয়? আর সব অবসান?
সব কিছুর অবসান হয়। ইন্ডিয়ান আইডলের মহাযজ্ঞ শেষ হলো। সিজন ১২-এর মঞ্চে রয়ে গেল শুধু সুরের ঝংকার, গানের মূর্ছনা, আর রঙিন স্মৃতি।
চূড়ান্ত পর্বে উত্তরাখণ্ডের পবনদীপ রাজন হেসেছেন শেষ হাসি। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার অন্যতম প্রধান দাবিদার ছিলেন পবনদীপ। চূড়ান্ত পর্বে রকস্টার সিনেমার ‘নাদান পরিন্দে ঘার আজা…’ গেয়ে মাতিয়েছেন দেশ, মঞ্চ এবং বিচারকদের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কিছুটা নিরাশ হয়েছে কলকাতা। বনগাঁ এলাকার মেয়ে অরুণিতা কাঞ্জিলালকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল তারা। অরুণিতার মিষ্টি সুরের জাদুতে ৮ মাস ডুবেছিলেন কলকাতাবাসী। ফাইনালের মঞ্চে ‘ঘুমর’-এর তালে মাত করেছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো অরুণিতাকে।
আরও এক রানার আপ আছেন; তিনি সায়লি কাম্বলে।
ফাইনালে ৬ জন প্রতিযোগী জায়গা করে নিয়েছিলেন। পবনদীপ রাজন, অরুণিতা কাঞ্জিলাল, সম্মুখাপ্রিয়া, নীহাল তাউড়া, মোহাম্মদ দানিশ এবং সায়লি কাম্বলে।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন ১২ ঘণ্টা ধরে চলে ফইনাল অনুষ্ঠান। তালে, সুরে, নাচে, গানে, উৎসবে মেতে উঠেছিল ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ।
ইন্ডিয়ান আইডলের সোনালি ট্রফি এবং ২৫ লাখ রুপি পেয়েছেন ইন্ডিয়ান আইডল পবনদীপ। সেই সঙ্গে একটি গাড়ির চাবিও তুলে দেয়া হয় তার হাতে।