জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেছেন, স্বাধীনতার বজ্র আগুনে জন্ম নেয়া নেতার মৃত্যু নেই।
নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্ট্যাটাসের সঙ্গে জাতির পিতার ছবি যুক্ত করে জয়া লেখেন, ‘তার মৃত্যু নেই। স্বাধীনতা ছিল তার জীবনের ধ্রুবতারা। মানুষের স্বাধীনতার পথে বড় সময় পার করেছেন জেলে, তোয়াক্কা করেননি মৃত্যুর। আমাদের মনে তিনি জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন স্বাধীনতার লেলিহান আকাঙ্ক্ষা। পৃথিবীর বুকে জন্ম দিয়েছিলেন নতুন এক স্বাধীন দেশ।’
তিনি আরও লেখেন, ‘একদল নিষ্ঠুর ঘাতক তার বুকে গুলি চালিয়ে ভেবেছিল, তাকে হত্যা করা যাবে। স্বাধীনতার বজ্র-আগুনে যার জন্ম, তার মৃত্যু নেই।’
সেই সঙ্গে তার পোস্ট করা বঙ্গবন্ধুর আঁকা ছবিটির শিল্পীর নামও জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি লিখেছেন, ‘শিল্পী; উদীয়মান আঁকিয়ে আরিশা তাহনী।’
১৯৭৫ সালের এ দিনে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নিহত হওয়ার দিনটি শোক দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হয়ে আসছে।
১৯৭৫ সালের এ দিনে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসায় আক্রমণ করে। ওই সময় বঙ্গবন্ধু ছাড়াও হত্যা করা হয় তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসেরকে।
এ ছাড়া বেইলি রোডে সরকারি বাসায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবি সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত ও আবদুল নঈম খান রিন্টুকে। আরেক বাসায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণিকে।
সেদিন দেশে না থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তারা সে সময় বিদেশে অবস্থান করছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে।
সেদিন দেশে না থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তারা সে সময় বিদেশে অবস্থান করছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে।