রাজধানীর বনানী থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সহযোগী সবুজ আলীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বেলা ৩টা ১৪ মিনিটে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল শুনানি শেষে তাদের জামিন নাকচ করে দেন।
এর আগে গত ১০ আগস্ট ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত আসামি রাজ ও সবুজ আলীর বিরুদ্ধে করা মাদক মামলায় দুই দিন এবং পর্নোগ্রাফি মামলায় চার দিনের রিমান্ড দেয়।
শুক্রবার তাদের বনানী থানার মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় রাজের পক্ষের আইনজীবী এস এম শিকদার মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান হিমেল জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এই জামিনের বিরোধিতা করেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে তাদের জামিন নাকচ করেন বিচারক।
গত ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীতে ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় অভিযানে যায় র্যাব-১। প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত সোয়া ৮টার দিকে পরীমনিকে আটক করে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, এলএসডি ও আইসের মতো মাদক জব্দ করা হয়।
এর পরপরই রাত সাড়ে ৮টার দিকে বনানীতেই নজরুল ইসলাম রাজের বাসা ও অফিসে অভিযান চালায় র্যাব। রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজকে তার বাসা থেকে বের করা হয়। তার বাসা থেকেও মাদক জব্দ করা হয়।
র্যাবের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে রাজকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে বনানীতে একজন এসআই হত্যা মামলার আসামি রাজ। তার বাসাতেও মাদক পাওয়া গেছে। একই ভবনে তার অফিস থেকে বিকৃত যৌনাচার-সম্পর্কিত বিভিন্ন সিডি পাওয়া যায়।
অভিযানের পরদিন রাজধানীর বনানী থানায় রাজের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) ধারায় মামলা করা হয়। মামলায় রাজের সহযোগী সবুজ আলীকেও আসামি করা হয়েছে।