যুক্তরাষ্ট্রের পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের অর্থের দায়দায়িত্ব ও অভিভাবকত্ব থেকে পদত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন তার বাবা। দীর্ঘ ১৩ বছর পর তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
২০০৮ সালে ব্রিটনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে তার বাবা জেমস স্পিয়ার্স অর্থের সব দায়দায়িত্ব ও অভিভাবকত্ব পালন শুরু করেন।
সে সময় আদালত আদেশ দেয়, জেমস স্পিয়ার্সকে ব্রিটনির সব সম্পদের দেখাশোনা করার, সেই সঙ্গে ব্রিটনির সব দায়িত্বও নিতে হবে।
এরপর ব্রিটনি তার বাবার বিরুদ্ধে অর্থের অপব্যহারের অভিযোগ আনেন। আদালতে আবেদন করে তার বাবার অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান থেকে মুক্তি চান।
তার বাবার অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধানকে ব্রিটনি নিপীড়নমূলক বলেও উল্লেখ করেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ব্রিটনির আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন তার বাবা। তিনি কোনো খারাপ কিছু করেননি এবং তার মেয়ের জন্য সব সময় ভালো কিছু করার চেষ্টা করেছেন বলে জানান।
এমন অবস্থায় ব্রিটনির ফ্যানরা হ্যাশটাগ ফ্রিব্রিটনি ক্যাম্পেইন শুরু করেন। সেই সঙ্গে তারা ব্রিটনিকে তার সম্পদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি তোলেন।
বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াইয়ে যান ব্রিটনি। সেটি চলছিল এত দিন পর্যন্ত। চলতি বছর ব্রিটনির অভিভাবকত্ব নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্রও রিলিজ দেয়া হয়, সেখানেও জনপ্রিয় এই গায়িকার সম্পত্তি নিয়ে বিতর্ক উঠে এসেছে।
৩৯ বছর বয়সী এই গায়িকা বিচারককে বলেন, তাকে জোর করে মাদক দিত, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে পারফর্ম করতে হতো, এমনকি তাকে সন্তান জন্মদান থেকে জোর করে বিরত রাখা হয়।
এখানে ব্রিটনির দুটি বিষয় রয়েছে, একটি তার আর্থিক বিষয়াদি, আরেকটি সন্তান হিসেবে তার উত্তরাধিকার।
তার বাবা অসুস্থতার কারণে ২০১৯ সালে ব্রিটনির অভিভাবকত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন। তবে সে সময় ব্রিটনি আদালতে তার বাবার বিরুদ্ধে একটি পিটিশন করেন।
ব্রিটনি তার বাবাকে আর কখনো তার বিষয়য়াদি দেখভাল না করতে দেয়ার কথা বলেন।
জেমস স্পিয়ার্সের আইনজীবী বৃহস্পতিবার আদালতে জমা দেয়া নথিতে জানান, তার সরে যাওয়ার অন্য কোনো কারণ নেই। তাকে বারবার প্রতিহিংসার শিকার হতে হচ্ছে বলেই সরে দাঁড়াচ্ছেন।
ব্রিটনির আইনজীবী ম্যাথু রসেনগার্ট এক বিবৃতিতে বলেন, এটা ব্রিটনির জন্য অনেক বড় জয় এবং বিচারের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।