বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমি খুবই প্রাইভেট একটা পারসন: মেহজাবীন

  •    
  • ১১ আগস্ট, ২০২১ ১৭:০৮

‘আমি যদি আমার প্রাইভেট লাইফ পাবলিক করি, তাহলে আমার কাজের কথার পাশাপাশি প্রাইভেট লাইফ নিয়েও উত্তর দিতে হবে। সবার বাড়তি কৌতূহল, সেটার প্রয়োজন নেই। আমি দর্শকের কাছে শিল্পী হিসেবে কাজ করি। সেটা নিয়ে কথা বলব।’

উইকিপিডিয়া বলছে, ২০০৯ সাল থেকে অভিনয় শুরু করেছেন মেহজাবীন। তবে মেহজাবীন নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, তার কাজ শুরুর সাল ২০১০। সেই হিসাবে অভিনয়জীবনের এক যুগ পূর্তির দোরগোড়ায় মেহজাবীন।

শুধু তা-ই নয়, মেহজাবীন কতটা জনপ্রিয়, তার একটা আন্দাজ পাওয়া যায় তার অভিনীত নাটকের ভিউ দেখে।

মেহজাবীনের ৩৩টি নাটক স্পর্শ করেছে কোটি ভিউয়ের মাইলফলক। আর ১০০টি নাটকের প্রতিটি ৫০ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে ইউটিউবে।

অভিনেত্রীর এমন আনন্দের সময় নিউজবাংলা কথা বলেছে মেহজাবীনের সঙ্গে।

  • আর কিছুদিন পরেই আপনার ক্যারিয়ায়ের বয়স হবে এক যুগ। প্রথম থেকে দেখলে মনে হয় আপনার ক্যারিয়ার গ্রাফটায় জড়িয়ে আছে শুধু উত্থানের গল্প।

প্রত্যেক মানুষ চায় সে যেন এগিয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই আমি চেষ্টা করেছি যেন প্রতিবছর দর্শকদের ভালো কাজ উপহার দিতে পারি, ভালো প্রোডাকশন বা ভালো পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে পারি।

একটা নরমাল মানুষের যেমন ইচ্ছা থাকে, সব সময় ভালো কাজ করব এবং ভাবিয়ে দিয়ে যাব দর্শকদের; আমার সেই চেষ্টাই ছিল।

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

  • আপনিও কি এটাই মনে করেন যে ক্যারিয়ারের কোথাও আপনি থামেননি, আটকাননি বা পিছিয়ে যাননি।

যদি ক্যারিয়ারের জায়গা থেকে বলি, তাহলে বলতে হবে, প্রতিবছর ভালোই করেছি, ভালো ভালো কাজ করতে পেরেছি।

কাজের জায়গা থেকে বলব, আমি অনেকটা সফল, অনেক লাকিও বলতে পারেন। দিন দিন আসলে দর্শক বেড়েছে, দর্শক আরও ভালোবাসা দিয়েছে আমাকে। সেই জায়গা থেকে বলব যে, ক্যারিয়ারটা এ রকম একটা গ্রাফে এগিয়েছে।

  • এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমালোচনা শিল্পীকে সমৃদ্ধ করার কথা শোনা গেলেও আপনার কাজ নিয়ে তেমন সমালোচনা দেখা যায় না। এটা কি আপনাকে কখনও ভাবিয়েছে? কেন সমালোচনা হচ্ছে না? আপনি কি এতটাই পারফেক্ট?

আমার জায়গা থেকে আমি বেশ সমালোচনা পেয়েছি, দেখেছি। এখন তো ডিজিটাল মাধ্যমে অনেকে অনেক কথাই লিখছেন। আমি যদি আমার পেজের কথাই ধরি, সেখানে তো অনেক দর্শক আমাকে অনেক ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন।

তারা বলেছেন, আপু, এবার অনেকগুলো রোমান্টিক নাটক হয়েছে, এবার একটু অন্য রকম নাটক করেন।

আপু, আপনাকে কখনও দেখা যায়নি এমন চরিত্রে কাজ করেন বা আপনার এবারের এই কাজটা ভালো লাগে নাই, এ বিষয়ে নজর দেবেন।

আমি তো আমার জায়গা থেকে অনেক ফিডব্যাক পেয়েছি। সেখানে সব সময় ভালো পেয়েছি তা কিন্তু না, অবশ্যই ভালোর সংখ্যাটা বেশি। সবার সব কাজ ভালো হয় না, তা না হলে সে মানুষ হতো না।

কী ধরনের ফিডব্যাক আসছে, সেটা নিয়ে সব সময় আমার নজর থাকে এবং সেখান থেকে কিছু নেয়ার চেষ্টা করি। বিষয়টা আমলে নিই। নিজের সঙ্গে নিজে বোঝার চেষ্টা করি এবং সে অনুযায়ী কাজও করার চেষ্টা করেছি ও করি।

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

  • আমরা লোকমুখে শুনে থাকি আমাদের দেশের স্টাররা সমালোচনা নিতে পারেন না। আপনি তুমুল জনপ্রিয় শিল্পী। এ বিষয়ে আপনার মত কী?

সমালোচনা নিতে পারি না- এ কথা যদি সত্যি হতো, তাহলে আমার ক্যারিয়ারের গ্রাফটা সামনের দিয়ে আগাত না। এটা আমি মনে করি।

যেহেতু আমি নিজেকে শুধরিয়েছি, আজকে থেকে ৮ বছর আগের কাজ যদি আপনি দেখেন, তাহলে সেখানে আকাশ-পাতাল তফাত দেখবেন।

এই তফাতটা কেন এসেছে এবং কীভাবে এসেছে? অবশ্যই তখন আমি দর্শকের কাছ থেকে ভালো রেসপন্স পাইনি। আমার একসেন্ট নিয়ে এবং অভিনয় নিয়ে অনেক কথা উঠেছে। আমি অভিনয় করতে পারি না- এমন অনেক কথা হয়েছে তখন।

এ ধরনের মন্তব্য যখন এসেছে, তখন বিষয়গুলো আমলে নিয়েছি এবং নিজেকে কীভাবে বেটার করা যায়, সেটা চেষ্টা করেছি। কতটুকু পেরেছি সেটা দর্শক বলবে। আমার চেষ্টা সব সময় ছিল, আছে।

আমরা সমালোচনা নিতে পারি না- এটা আমার একেবারেই মনে হয় না। কারণ আমরা যারা একসঙ্গে কাজ করি, তারা সব সময়ই আলোচনা করি যে, এবারের কাজগুলো ভালো হয়েছে, এ রকম কাজ করা দরকার বা এবারের কাজ ভালো হয়নি।

দর্শকরা যেটা পছন্দ করছেন না, সেটা ভালো করার চেষ্টা শুধু আমি না, আমরা যারা কাজ করছি সবাই করি।

  • এক যুগ হতে যাচ্ছে আপনি অভিনয় করছেন। যদি নাটকে অভিনয় করাটাকে একটা গণ্ডিতে অভিনয় করা বলি, তাহলে কি আপনার কখনও মনে হয়েছে এই গণ্ডিটা পেরিয়ে যাওয়া দরকার।

একেবারেই না। আমি যে জায়গায় এসে এত ভালোবাসা পেয়েছি, সেখানে শেষ পর্যন্ত কাজ করতে চাই। এখন আমার বয়স ও ক্যারিয়ারের বয়স অনেক কম। আগামীতে আমার আরও ভালো কাজ করার সুযোগ আছে।

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

  • এগিয়ে যাওয়ার ব্যাখ্যা অনেক রকম হতে পারে। তবে আমি বলতে চাচ্ছি, নাটকে তো অনেক অভিনয় হলো, সিনেমা, ওটিটি বা সীমানা পেরিয়ে নিজেকে মেলে ধরা- এই অর্থে গণ্ডি পেরিয়ে যেতে চাননি আপনি?

এ ধরনের অফার আসে নাই তা না। ওটিটিতে কাজ করার প্রস্তাব প্রতিনিয়তই আসছে। সিনেমার অফার অনেক এসেছে। সীমানা পার করেও অন্য দেশ থেকে আমি অফার পেয়েছি। সেটার ডিটেইল বলতে চাই না। কারণ সেগুলো অন্য কেউ করেছে এবং সেগুলো ভালোও হয়েছে।

না করার কারণ হলো, আমি কোনো কাজ করলে সেটা সবচেয়ে ভালো করে করতে চাই। কোনো কাজ যদি আমার কমফোর্টের বাইরে থাকে, সে কাজটা আমি করতে চাই না। প্রত্যেকের সব কাজ করতে হবে, সেটা আমি মনে করি না।

  • আপনি কি এমন বলতে চাচ্ছেন যে, নাটকে আপনি চা বিক্রেতা, রাস্তার শিল্পী, চাঁপাবাজ, গরিব ঘরের বউ, ট্রাফিক পুলিশ, স্বাস্থ্যবান মেয়ে, দাঁত উঁচু মেয়ে, মানসিক রোগীর মতো চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে প্রমাণ করছেন। নিজেকে আরও বেশি প্রমাণ করতে আপনার অন্য কোনো মাধ্যমে কাজ করার প্রয়োজন নেই।

এটাই যে আমার শেষ, তা কিন্তু না। আমি হয়তো আরও সুযোগ পাব, আরও অনেক কিছু করতে পারব, সেটার জন্য আমাকে সময় দিতে হবে বা আমার ক্যারিয়ারের বয়সটাও হতে হবে।

  • মেহজাবীন, এমন কি হচ্ছে যে আপনি চমকে যাওয়া বা মুগ্ধ হওয়া ভুলে যাচ্ছেন। চরিত্র বা গল্প শুনে আপনি আর শিহরিত হচ্ছেন না।

শিহরিত হয়ে যাওয়ার মতো গল্প বা চমকে ওঠার মতো গল্প আমাদের বছরে বা দুই বছরে বা তিন বছরে একটা-দুইটাই পাওয়া যায়। এটাই আমাদের এখানকার সিনারিও।

এ জন্যই কয়েক বছর পরপর আমাদের এখানে বড় করে একটা কিছু হিট হয় এবং তারপর একটা সময় যায় যখন তেমন কিছু হিট হচ্ছে না, আবার নতুন করে কিছু একটা বের হয়ে আসে।

আমার সৌভাগ্য এমন কিছু কাজ আমি করতে পেরেছি, যেটা মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়েছে এবং কিছু কাজ আছে সেগুলো মানুষ পছন্দ করেনি।

আমরা দেখি বিদেশি কাজ আর সেটা তুলনা করতে চাই আমাদের কাজের সঙ্গে। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করতে হয়। খরচ করার সুযোগ থাকে না বলে স্ক্রিপ্ট রাইটার থেকে শুরু করে পরিচালক সবাই তাদের চিন্তা থেকে সরে আসেন।

আমরা দেখছি কনটেন্টের চরিত্র মহাকাশে চলে গেছে আর আমরা নাটকে দেখছি দুটি রুমের মধ্যে সব শেষ হয়ে গেছে। এর কারণ বাজেটস্বল্পতা।

আপনি যদি বলেন আমার মুগ্ধতা কমছে কি না, আমি বলব অবশ্যই কমছে, কারণ আমি হয়তো প্রতি রাতে নেটফ্লিক্সের কনটেন্ট দেখছি কিন্তু কাজ করছি পার্কের মধ্যে দাঁড়িয়ে। তো আমার মুগ্ধতা বেশি থাকবে কী করে।

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

  • এখন আপনার চ্যালেঞ্জ কী?

আমি আরও বড় স্কেলের কাজ করতে চাই। সেটা সিনেমা, ওটিটি বা নাটকে হতে পারে। কিন্তু এ ধরনের কাজ করতে চাইলে সময় লাগবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হয়তো সিনেমা নিয়ে ভাবা যাবে। অনেকে এখন অনেক বড় কাজ স্ক্রিপ্ট করে রেখেছে, সেগুলো করতে পারবে।

  • সিনেমা নিয়ে আপনার কোনো অ্যালার্জি তো নেই?

একদম না। এ ধরনের কোনো কথা আমার মুখ থেকে কখনোই বের হয়নি। অনেকে এটা ধারণা করেন বা ধারণায় বলেন। যেহেতু অনেক বছর ধরে শুধু নাটক করছি, এ জন্য হয়তো অনেকে এটা ধরে নিয়েছে।

আমি ভালো চরিত্র করার জন্য পাগল। সেটা যেই মাধ্যমে হোক না কেন।

  • ফিরে দেখেন কখনও জীবন?

আমি তো খুব অল্প বয়সে কাজ শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত আমি যতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি প্রতিটি সিদ্ধান্তে অনেক স্যাটিসফাইড। আমি মনে করি, আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

২০১০ সালেই আমি ফিল্মের অফার পেয়েছিলাম। যদি সেই ফিল্মটা করতাম এবং সেটা যদি ভালো না হতো, তাহলে হয়তো ফ্লপ সিনেমার অভিনেত্রী হয়ে থেকে যেতাম।

আমি আমার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে এমন অনেক নাটকেই অভিনয় করেছি, যেগুলো কোনো ফিডব্যাক আনেনি, আমার সমালোচনা হয়েছে। আমি সেগুলো পজিটিভলি নিয়ে নিজের উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি।

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

  • নাটকে অভিনয় না করলে আপনি কী করবেন?

প্রথমত, এমনটা আমি কখনও ভাবিনি। আমি ছোট ছোট করে হয়তো কাজ করতে পারব। ফিউচারে কী হবে সেটা জানি না। অভিনয়টাই করতে চাই।

আর অভিনয়টা যদি না করতে পারি, তাহলে সিচুয়েশন বলে দেবে কী করা যাবে। শিল্পীদের একসময় পরিচালক হওয়ার সুযোগ থাকে, আমি জানি না কখনও পরিচালক হব কি না। আমি ইনটেরিয়র করতে পারি খুব ভালো। তো এমন অনেক কিছুই করার সুযোগ থাকবে আশা করি।

  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি আপনাকে অনেকে মেহু বলে ডাকে। নামটা কেমন লাগে? এটা কি ভক্তের দেয়া?

এটা ভালোবাসার নাম। আমার ভক্তরা আমাকে এই নামে ভালোবেসে ডেকেছেন। এটা বড় একটা পাওয়া।

আমরা তখনই একজনকে ছোট নামে ডাকি, যখন সে খুব আপন হয়ে যায়। তারা যে আমাকে আপন করে নিয়ে এই নাম দিয়েছেন, এটা আমার অনেক ভালো লাগার জায়গা। তবে প্রথম দিকে একটু অবাক হয়েছিলাম।

জাস্ট দুই দিন আগে আমি একটি স্টোরে গিয়েছিলাম কেনাকাটার জন্য। সেখানে কেউ একজন ফোনে কাউকে মেহু বলে ডেকেছে। সেটা শুনে আমি ফিরে তাকিয়েছি, ভেবেছি আমাকে ডাকল নাকি। এটা এখন আমার মধ্যে মিশে গেছে।

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

  • জীবনের নানা ধাপ হয়তো থাকে। সংসার করার কথা কিছু ভাবেন কি না?

এখনও আমি একটি সংসারই করছি বলব। কারণ, সংসার তো শুধু স্বামীর সংসার, তেমনটা আমি মনে করি না। আমার বাবা-মায়ের সংসারটাও আমার সংসার।

ভবিষ্যতে যখন আমার বিয়ে হবে, তখন আমি দুটো সংসার করব, আমি এটা মনে করি। প্রত্যেক মানুষকেই এটার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সময়-সুযোগ ও সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা যখন হবে, তখন নিশ্চয়ই আমিও এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাব।

  • আপনাকে নিয়ে একটা গুঞ্জনই শোনা যায়। এটা নিয়ে আপনার পরিষ্কার কোনো মন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। সম্পর্কে জড়ানো খারাপ কিছু না। তেমন কিছু হলে সেটা প্রকাশ করাটাই তো স্বাভাবিক।

এ ব্যাপারে বলতে চাই, গুঞ্জনটা আসলে আমি তৈরি করিনি। এর সঠিক উত্তরটা আমি দিতে পারব না।

আমি আমার প্রাইভেট জীবনটাকে প্রাইভেট রাখতে খুব পছন্দ করি। আমার ফ্রেন্ড সার্কেলটাও খুব ছোট। মিডিয়া ফ্রেন্ডও আমার তেমন নেই। সেটাকে আমি ছোটই রাখতে চাই।

আপনি কখনোই আমাকে দেখবেন না, অমুক জায়গায় তমুক জায়গায় বা অমুক পার্টিতে বা কোথাও আমাকে দেখা যায় না। আমি খুবই প্রাইভেট একটা পারসন।

আমি যদি আমার প্রাইভেট লাইফ পাবলিক করি, তাহলে আমার কাজের কথার পাশাপাশি প্রাইভেট লাইফ নিয়েও উত্তর দিতে হবে। সবার বাড়তি কৌতূহল, সেটার প্রয়োজন নেই। আমি দর্শকের কাছে শিল্পী হিসেবে কাজ করি। আমি ভালো কাজ করতে পারছি কি পারছি না, সেটা নিয়ে কথা বলব। আমার ব্যক্তিগত জীবনে কী ঘটছে, সেটা নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না। এটাই আমার ধরন।

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

  • আপনার অভিনীত ৩৩টি নাটক স্পর্শ করেছে কোটি ভিউয়ের মাইলফলক। আর ১০০টি নাটকের প্রতিটি ৫০ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে ইউটিউবে। কেমন লাগছে।

আমি কি জানতাম এমন হবে। সবই দর্শকের ভালোবাসা। এই বিষয়গুলো আমার দর্শকরা আমাকে জানান বা ফেসবুকে পোস্ট করে বলে আমার চোখে পড়ে।

নিজে কয়টা নাটক করেছি, সেটার কোনো হিসাব নেই। গতকালই জানতে পারলাম কোটি আর ৫০ লাখ ভিউয়ের বিষয়টি।

দর্শকরা যে এই হিসাবটা রাখছেন, তারা এটার লিস্ট করেছেন, সেটা ফেসবুকে দিচ্ছেন, নানা জায়গায় পোস্ট করছেন। তারা যে এই সময়টা দিচ্ছেন, এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।

এ বিভাগের আরো খবর