‘অমরত্বের প্রত্যাশা নেই, নেই কোনো দাবিদাওয়া,
এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকেই চাওয়া।’
প্রত্যাশা না করেও অমরত্বের পথের পথিক সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। নামটিতে প্রেম-বিদ্রোহ, আনন্দ-বেদনা এক সুতোয় গাঁথা। বর্ণাঢ্য এ জীবনের গল্প শোনাবেন সুমন।
কীভাবে শোনাবেন, তা জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
নিজের অ্যাকাউন্টে বুধবার এক পোস্টে দুই বাংলার জনপ্রিয় এ শিল্পী লেখেন, “আমার অনেক দিনের ইচ্ছে ইউটিউবে আমার স্মৃতিকথা বলতে থাকি। আর দেরি নয়। আজই শুরু করছি রেকর্ডিং। ভিডিও নয়, খুব বড় ফাইল হয়ে যাবে। অডিও ফাইল বানাচ্ছি। সিরিজের নাম ‘বেজে ওঠা স্মৃতি’।”
তিনি লেখেন, ‘যখন যা যেভাবে মনে পড়বে বলে যাব। কালানুক্রম থাকবে এমন কথা দিচ্ছি না। থাকবে না ধরে নেয়াই ভাল। সুর, তাল, ছন্দ থাকবে তার অনেকটাই জুড়ে। যে কেউ শুনতে পারেন।’
গত মার্চে ৭৩ বছরে পা দিয়েছেন কবীর সুমন। সেই জন্মদিনে তার জীবনের প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ডের গল্প জানিয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বর্ষীয়ান এ সংগীতশিল্পী। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়েই বেঁধেছিলেন নতুন সুর-রাগ।
অভিনেতা, বেতার সাংবাদিক, গদ্যকার, রাজনীতিক পরিচয় ছাপিয়ে কবীর সুমন একজন সুরকার, গীতিকার, সংগীতশিল্পী ও কণ্ঠযোদ্ধা। গানে গানে এ কণ্ঠ আনন্দ-বেদনা, প্রেম-বিদ্রোহ আর মুক্তির কথা বলে।
তার প্রতিবাদী গান কাঁটাতার পেরিয়ে শামিল হয় প্রতিরোধ, প্রতিবাদ আর দাবি আদায়ের মিছিলে।
বাংলাদেশের প্রতি প্রাণের টান থাকার কথা একাধিকবার বলেছেন কবীর সুমন। সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার বিচার, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ, ব্লগার রাজীব হত্যার বিচারসহ অনেক প্রসঙ্গ নিয়েই গান করেছেন এ শিল্পী।