বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরী রিমান্ডে, ‘বড় ভাই’ হারুনের কাছে ডিবি অফিসে জায়েদ খান

  •    
  • ৬ আগস্ট, ২০২১ ১৮:২৮

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শিল্পীকে দেখে মানুষ আইডল মনে করবে। যার ছবি মানিব্যাগে থাকবে, যার ছবি বাসায় রাখবে। এক-দুজন শিল্পীর জন্য যদি পুরো শিল্পী সমিতির সুনাম নষ্ট হয়, তাহলে শিল্পী সমাজ কখনোই মেনে নেবে না।’

চিত্রনায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ চারজন যখন মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি, সে সময় চিত্রনায়ক জায়েদ খান ঘুরে এলেন সেই কার্যালয়।

জিজ্ঞাবাসাদের বিষয়ে যখন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ কথা বলছিলেন, তখন লাল গেঞ্জি পরা জায়েদকেও পাশে দেখা যায়।

জায়েদ সেখানে কেন, প্রশ্ন ওঠে। তখন হারুন বলেন, জায়েদ তার ছোট ভাই। তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।

বুধবার পরীমনি ও তার দুই ‘ঘনিষ্ঠজন’ ও আরও একজন আটক হওয়ার পরদিন তাদের বিরুদ্ধে হয় মামলা। সেদিন আদালতে তোলা হলে তাদের চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয় গোয়েন্দা কার্যালয়ে।

পরীমনির কাছ থেকে কী কী তথ্য পাওয়া গেছে, জানতে শুক্রবার দুপুরের আগে সেখানে যান গণমাধ্যমকর্মীরাও।

ঠিক তখনই কেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে সেখানে দেখা যান।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার ছোট ভাই। দেখা করার জন্য এসেছে।’

জায়েদ খানকেও প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকরা।

অভিযুক্ত শিল্পীদের বিরুদ্ধে সমিতি কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না, এই ছিল জিজ্ঞাসা।

জবাবে তিনি বলেন, ‘শিল্পীকে দেখে মানুষ আইডল মনে করবে। যার ছবি মানিব্যাগে থাকবে, যার ছবি বাসায় রাখবে। এক-দুজন শিল্পীর জন্য যদি পুরো শিল্পী সমিতির সুনাম নষ্ট হয়, তাহলে শিল্পী সমাজ কখনোই মেনে নেবে না।

‘আগামীকাল আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং রয়েছে। চিত্রনায়িকা একার বিষয়েও কথা উঠেছে, কালকে সংবাদ সম্মেলন করে কী ব্যবস্থা নিচ্ছি তা জানিয়ে দেয়া হবে।’

শিল্পীদের অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ এসেছে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা শিল্পীর ব্যক্তির দায়। শিল্পীরা বিনয়ী হবে। তাদের কাজ মানুষ দেখবে। তারা যদি অপকর্মে জড়িত হয়ে যায়, তাহলে এটার দায়ভার সম্পূর্ণ ব্যক্তি নিজের।

‘কোনো শিল্পী যদি অর্থের লোভে কিংবা নিজেকে আরও আভিজাত্যে রাখার জন্য কোনো খারাপ পথে যায়, তাহলে সেটা ব্যক্তির দায়ভার।’

পরীমনি, একার মতো শিল্পীদের বিরুদ্ধে সমিতিতে এর আগে কোনো অভিযোগ এসেছে কি না, জানতে চাইলে জায়েদ খান বলেন, ‘আমাদের শিল্পী সমিতির কাছে এদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগে এলে আমরা ব্যবস্থা নিতাম।’

তিনি বলেন, ‘শিল্পী সমিতি সব সময় শিল্পীর ভালো কাজের পাশে থাকে। শিল্পীর খারাপ কাজের পৃষ্ঠপোষকতা আমরা করি না। পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি শিল্পী বাইরে কিছু করলে এমনকি আমি জায়েদ খান কিছু করলেও এর দায়ভার শিল্পী সমিতি গ্রহণ করবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর