বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিপুল অর্থ পেতে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করতেন পরীমনিরা

  •    
  • ৫ আগস্ট, ২০২১ ১৬:৫০

র‌্যাব জানায়, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এবং মিশু হাসান নামে এক ব্যক্তির হাত ধরে পরীমনি অর্থের ‘মোহে ডুবে যান’ বলে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে।

মাদকদ্রব্যসহ আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনির কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। বাহিনীটি বলছে, বিভিন্ন পার্টিতে যোগ দিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্টতার সুযোগে ব্ল্যাক মেইল করে বিপুল অর্থ আয় করতেন পরীমনিসহ কয়েকজন মডেলের একটি চক্র।

চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এবং মিশু হাসান নামে এক ব্যক্তির হাত ধরে পরীমনি অর্থের ‘মোহে ডুবে যান’ বলে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে।

পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান শেষে বুধবার রাতে তাকে নিজেদের জিম্মায় র‌্যাবের হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এই অভিনেত্রীর বাসায় অভিযান শেষ হতেই বনানীতেই অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় রাজকে।

র‌্যাব হেডকোয়ার্টারে মাঝরাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন বাহিনীটির দায়িত্বশীল কয়েকটি সূত্র। তারা বলছেন, বিপুল পরিমাণ অর্থের কারণে উশৃঙ্খল জীবনযাপন করতেন পরীমনি। বিভিন্ন মহলের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের কথাও জানিয়েছেন তিনি। এদের মধ্যে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

সূত্রগুলো জানায়, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন পার্টি, তাদের আয়োজক ও কয়েকজন বিতর্কিত সেলিব্রেটির কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় একটি সিন্ডিকেটের তথ্য পায় তারা। এই সিন্ডিকেটে পরিচিত সেলিব্রেটিসহ, উঠতি মডেল এমন অনেক নারী জড়িত। তারা সবসময় মাদকের সংস্পর্শে থাকে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কাছ থেকে নানা সময় ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা হাতানোর মত কাজও করেছে। সেই সঙ্গে উৎশৃঙ্খল আচরণের কারণেও কাউকে কাউকে নজরদারিতে আনে র‌্যাব।

প্রথমে দুই মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে আটক করার পর বাকিদেরও আইনের আওতায় আনতে অভিযানে নামে বাহিনীটি।

র‌্যাব জানায়, গত বুধবার পিয়াসা ও মৌয়ের সহযোগী মিশু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিশু মূলত বিভিন্ন পার্টির আয়োজন করতো। সেসব পার্টিতে মিশুর আমন্ত্রণে পরীমনি নিয়মিত অংশ নিত। তাই মিশুকে গ্রেপ্তারের পর পরীমনির বাসায় অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাব বলছে, প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের হাত ধরেই পরীমনির উত্থান। রাজই বিশিষ্ট লোকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে অর্থ উপার্জনের পথ দেখিয়েছিল পরীমনিকে। তারা সবাই একই সিন্ডিকেটের সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

এ ছাড়া, র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতির পর সহযোগিতা না করে ফেইসবুক লাইভে থেকে যাদের যাদের ফোন করেছিলেন তাদের সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে পরীমনিকে।

এ বিভাগের আরো খবর