মাদক আইনে পরীমনি ও তার বাসা থেকে আটক আশরাফুল ইসলাম দীপুর বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। আর পরিচালক নজরুল ইসলাম রাজ এবং তার অফিস থেকে আটক সবুজ আলীর বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে মাদক ও পর্ণোগ্রাফি আইনে।
দুটি মামলায় র্যাবের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় আইস ও এলএসডিসহ বিপুল মদ জব্দ করা হয়। রাত সোয়া ৯টার দিকে এই অভিনেত্রীকে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরীমনির বাসায় অভিযান শেষ না হতেই বনানী ৭ নম্বর সড়কে আরেকটি বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাবের গোয়েন্দা শাখা। ওই বাসা থেকে ইয়াবা, মদ ও বেআইনি যৌনাচারের সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। রাজকেও আটক দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় র্যাব কার্যালয়ে।
র্যাব জানায়, পরীর বাসা থেকে জব্দ করা হয়েছে ৮ বোতল প্লাটিনাম লেভেল, তিনটি ব্ল্যাক লেভেল, ২টি সিভাস সিগ্যাল, ২টি ফক্স গ্রোভ, একটি ব্লু লেভেল, ২টি গ্ল্যানলিভেট, একটি গ্ল্যানফিডিচ বোতল।
এ ছাড়া, এই অভিনেত্রীর বাসা থেকে জব্দ হয়েছে ৪ গ্রাম আইস ও এক স্লট ভয়ংকর মাদক এলএসডি। জব্দ তালিকায় একটি বং পাইপের কথাও বলা হয়েছে।
আর চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক নজরুল ইসলাম রাজের অফিস থেকে বিপুল মদ জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। জব্দ তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে তার বাসায় মিলেছে সাত বোতল গ্ল্যানলিভেট, ২টি গ্ল্যানফিডিচ, চারটি ফক্স গ্রোভ, একটি প্লাটিনাম লেভেল।
এর বাইরে সীসায় ব্যবহৃত চারকোলের একটি প্যাকেট, দুই সেট সীসার সরঞ্জাম, দুই ধরনের সীসা তামাক, সীসা সেবনের জন্য ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের একটি রোল, ৯৭০ পিস ইয়াবার কথাও বলা হয়েছে জব্দ তালিকায়।
এ ছাড়া, যৌনাচারের জন্য ব্যবহৃত ১৪টি বেআইনি সরঞ্জাম, একটি সাউন্ড বক্স ও দুটি মোবাইল ফোন সেট এবং একটি মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।