২০১৪ সালের ১৩ মে মুক্তি পাওয়া হিরোপান্তি সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় অভিনেত্রী কৃতি শ্যাননের।
তবে এর আগে একই বছরের ১০ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়া তেলেগু সিনেমা নেনোক্কাদিন দিয়ে রুপালি পর্দায় যাত্রা শুরু কৃতির।
এই কয়েক বছরের মধ্যে বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন অভিনেত্রী।
আগামী ৩০ জুলাই নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৃতি শ্যাননের সিনেমা মিমি। কিন্তু নির্ধারিত দিনের চার দিন আগেই ২৬ জুলাই মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিনেমাটির নির্মাতারা।
সোমবার কৃতির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এক লাইভে যুক্ত হন সিনেমাটির আরেক মুখ্য চরিত্র পঙ্কজ ত্রিপাঠি, পরিচালক লক্ষণ উটেকর এবং প্রযোজক দীনেশ বিজন।
এই লাইভে প্রযোজক দীনেশ বিজন জানান, সিনেমাটির এই আগাম মুক্তি কৃতির জন্য জন্মদিনের উপহার।
২৭ জুলাই কৃতির জন্মদিন। তার এক দিন আগেই ২৬ জুলাই প্রযোজকের এই ঘোষণায় ব্যাপক উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী। বলেন, ‘এটি জন্মদিনের সেরা উপহার।’
বলিউড অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। ছবি: সংগৃহীত
মিমিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কৃতি।
রাজস্থানের এক রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে মিমি। অন্যদিকে ট্যাক্সি ড্রাইভার ভানুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। ভানুর প্ররোচনায় ও অর্থের লোভে বিদেশি এক দম্পতির সন্তানের সারোগেট মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কৃতি।
সেই অনুযায়ী গর্ভে সন্তান ধারণ করেন। কিন্তু আচমকাই বেঁকে বসেন সেই দম্পতি। জানিয়ে দেন সেই সন্তান তারা চান না।
এই খবরে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মিমির। তবে সেই সন্তানকে গর্ভে হত্যা করতে রাজি নন তিনি। অথচ পরিবার ও সমাজের লাঞ্ছনা-গঞ্জনার ভয়ও আছে তার।
এই দোলাচলের মাঝে পরিবারের চাপে বলে ফেলেন এই সন্তানের বাবা ভানু। এ রকম নানা উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তা নিয়ে এগোতে থাকে গল্প।
‘মিমি’র পোস্টারে মনোজ পাহওয়া (বাঁয়ে), পঙ্কজ ত্রিপাঠি ও কৃতি শ্যানন (মাঝে) এবং সুপ্রিয়া পাঠক (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পুরস্কার পাওয়া মারাঠি সিনেমা মালা আই ভাইহায়ছির রিমেক মিমি।
কৃতি শ্যানন ও পঙ্কজ ত্রিপাঠি ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করেছেন মনোজ পাহওয়া, সুপ্রিয়া পাঠক, স্মিতা জয়কর ও মারাঠি অভিনেত্রী সাই তামহানকরসহ অনেকে।