গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের চলে যাওয়া এক কিংবদন্তির প্রস্থান বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তার মতে, এ রকম শিল্পী এক দিনে তৈরি হয় না।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শনিবার দুপুরে এই শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ফকির আলমগীর শুধু গণসংগীতশিল্পীই ছিলেন না, তিনি আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। এ দেশের গণসংগীতকে সমৃদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জন্য লড়াই এবং আশির দশক ও নব্বইয়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফকির আলমগীরের মতো শিল্পী এক দিনে তৈরি হয় না। বহু বছরের সাধনায় তিনি হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তি। দক্ষ সংগঠক হিসেবে গণসংগীতকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া এবং জনপ্রিয় করে তোলায় তার ভূমিকা অনন্য।’
তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বহু কালজয়ী গানের স্রষ্টা ফকির আলমগীরের চলে যাওয়া আমাদের গণসংগীত, সংস্কৃতি অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা মহান স্রষ্টার কাছে তার আত্মার চিরশান্তির জন্য প্রার্থনা করি।’
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে মৃত্যু হয় ফকির আলমগীরের। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
১৮ জুলাই থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন ফকির আলমগীর। এর আগে করোনা পজিটিভ হওয়ায় ১৫ জুলাই রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় শনিবার দুপুর ১২টায় তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। করোনা বাধা উপেক্ষা করেই শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে জড়ো হন তার কয়েক শ শুভানুধ্যায়ী।
ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
একুশে পদকপ্রাপ্ত ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় তিনি বলেন, এ দেশের সংগীতাঙ্গনে বিশেষ করে গণসংগীতকে জনপ্রিয় করে তুলতে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।