বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফকির আলমগীর দুঃখে পাশে থেকেছেন: হানিফ সংকেত

  •    
  • ২৪ জুলাই, ২০২১ ১৫:০১

হানিফ সংকেত লেখেন, ‘বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে পাশে থেকে তিনি যেমন মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন, তেমনি শিল্পীদের অধিকার আদায়ের বিভিন্ন কর্মসূচীতেও তিনি সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সবসময় তিনি সবার সুখে দুঃখে পাশে থেকেছেন।’

গণসংগীতের পুরোধা ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে স্বজন হারানোর কষ্ট অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত। বলেছেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সবসময় সবার সুখে দুঃখে পাশে থেকেছেন ফকির আলমগীর।

শুক্রবার রাতে ফকির আলমগীরের মৃত্যু সংবাদের পর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি একথা বলেন।

ফকির আলমগীরের সঙ্গে নিজের দুটি ছবি পোস্ট করে হানিফ সংকেত লেখেন, ‘‘চলে গেলেন গণমানুষের শিল্পী ফকির আলমগীর। মানবিক গুণাবলিতে মহান এই শিল্পীর অকস্মাৎ মৃত্যু সংবাদে স্বজন হারানোর কষ্ট অনুভব করছি। সম্প্রতি তার অসুস্থতার খবরে বেশ শংকিত হয়ে পড়েছিলাম। নিয়মিত খোঁজখবরও রাখছিলাম। দুদিন আগেও ভাবীর সঙ্গে কথা হয়েছিল, বলেছিলেন-‘এখন কিছুটা স্ট্যাবল, দোয়া করেন।’ কিছুটা আশার আলো দেখেছিলাম কিন্তু না, প্রাণঘাতী করোনার কাছে পরাজিত হয়ে অবশেষে শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে চিরবিদায় নিলেন স্বাধীন বাংলা বেতারের এই শব্দসৈনিক-বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর।’’

সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে ফকির আলমগীরের ভূমিকা তুলে ধরে হানিফ সংকেত লেখেন, ‘বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে পাশে থেকে তিনি যেমন মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন, তেমনি শিল্পীদের অধিকার আদায়ের বিভিন্ন কর্মসূচীতেও তিনি সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সবসময় তিনি সবার সুখে দুঃখে পাশে থেকেছেন।’

ফকির আলমগীর ও হানিফ সংকেত। ছবি সংগৃহীত

ফকির আলমগীরের সঙ্গে নিজের স্মৃতি মনে করে এই টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব লেখেন, ‘তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমার অনেক আড্ডার, অনেক গল্পের অনেক স্মৃতি। মনে পড়ে আমার অনেক অনুষ্ঠানে উপস্থিতির স্মৃতিময় সময়গুলোর কথা। আমি তার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে মৃত্যু হয় ফকির আলমগীরের। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

১৮ জুলাই থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন ফকির আলমগীর। এর আগে করোনা পজিটিভ হওয়ায় ১৫ জুলাই রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

শনিবার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধায় বিদায় জানানো হলো ফকির আলমগীরকে। ছবি: নিউজবাংলা

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় শনিবার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধায় বিদায় জানানো হলো দেশের গণসংগীতের পুরোধা ফকির আলমগীরকে।

খিলগাঁওয়ের মাটির মসজিদ প্রাঙ্গণে শিল্পীর দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর