রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জানাজা ও দাফন হবে বাংলাদেশের গণসংগীতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ফকির আলমগীরের।
বেলা ১১টার দিকে খিলগাঁওয়ের পল্লীমা সংসদ চত্বর এবং বাদ জোহর খিলগাঁও মাটির মসজিদ প্রাঙ্গণে শিল্পীর জানাজা হবে।
মাঝে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হবে ফকির আলমগীরের মরদেহ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানানো হবে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা।
জোহরের নামাজের পর খিলগাঁও কবরস্থানে বরেণ্য শিল্পীর দাফন হবে।
শিল্পীর ছেলে রাজিব আলমগীর নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে মৃত্যু হয় ফকির আলমগীরের। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
১৮ জুলাই থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন ফকির আলমগীর। এর আগে করোনা পজিটিভ হওয়ায় ১৫ জুলাই রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
একুশে পদকপ্রাপ্ত ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘এ দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে বিশেষ করে গণসংগীতকে জনপ্রিয় করে তুলতে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
ফকির আলমগীরের জন্ম ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে।
১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি কালামৃধা গোবিন্দ হাই স্কুল থেকে পাস করে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন।
জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ পাস করেন।
১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপের সদস্য হিসেবে ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেন ফকির আলমগীর। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সংগীত বলয়ে প্রবেশ করেন তিনি।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ফকির আলমগীর একজন শব্দসৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন।