ঈদের আগেই জানা গিয়েছিল নীল মুকুট চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে। পরিস্থিতির কারণে মুক্তি না পেলেও এবার সিনেমার বিচিত্র কিছু অভিজ্ঞতা জানালেন পরিচালক ও প্রযোজক।
সিনেমার প্রায় ১০০ মিনিট দৈর্ঘ্যের ৬৫ মিনিট দৃশ্যের শুটিং হয়েছে হাইতিতে। আর সেই শুটিং করতে গিয়ে একেবারে শেষ মুহূর্তে ক্রুদের কেউ ভিসা না পাওয়ায় তৈরি হয়েছিল এক জটিল পরিস্থিতি।
শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব গল্প জানান হয়।
কামার বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে হাইতি যেতে হলে আপনাকে নিউইয়র্ক হয়ে যেতে হবে, সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা থাকাটা জরুরি। আমার আর সারার (প্রযোজক) সেই ভিসা থাকলেও বাকি ক্রুদের কারও মার্কিন ভিসা ছিলনা।
‘এর মধ্যে আবার যাদের নিয়ে শুটিং তারা সব অনেক আগেই পৌঁছে গেছে হাইতি। আমি যদিও খুব ছোট ইউনিটে কাজ করে অভ্যস্ত, তবু একদম কোনো ক্রু ছাড়া হাইতির মতো এত দূর দেশে গিয়ে শুটিং করার সাহস করাটাই একটা বিরাট যুদ্ধ ছিল।’
অভিজ্ঞতা জানিয়ে নীল মুকুট সিনেমার প্রযোজক সারা আফরীন বলেন, ‘প্রায় দুই বছরের অনুমতি জটিলতা কাটিয়ে যখন হাইটিতে শুটিংয়ের সব ঠিক হলো, শেষ মুহূর্তে হলো এই ভিসা জটিলতা। এর আগে কখনও আমাকে ইকুইপমেন্ট নিয়ে সরাসরি প্রোডাকশনে কাজ করতে হয় নাই। কিন্তু হাইতিতে যেহেতু আর কোন উপায় ছিলনা, হয় আমাদেরকেই শুটিং করতে হবে নয়তো শুটিং বাতিল করতে হবে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিলাম যা করার আমরাই করব।’
সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ জন্য প্রায় মাসখানেক লাইভ সাউন্ড রেকর্ডিং শিখেছেন সারা। আর কামার শুনতে কি পাও চলচ্চিত্র থেকে নিজেই ক্যামেরা চালান। মুম্বাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহকের একটা আন্তর্জাতিক পুরস্কার আছে তার ঝুলিতে। তারপর প্রস্তুতি নিয়ে কয়েকটা পেলিক্যান স্যুটকেস ভর্তি শুটিং গিয়ার নিয়ে দুইজন রওনা দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তারপর সেইখান থেকে আবার হাইতি।
নীল মুকুট সিনেমার পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
কিন্তু নীল মুকুট সিনেমার বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে একদম নারাজ কামার। তার মতে, তিনি সিনেমা বানান একটা ঘোরের মধ্যে, কামার চান তার দর্শকেরাও তার সেই ঘোরের সঙ্গী হোক।
এর আগেই কামার জানিয়েছিলেন, প্লেনে একটা কান্নাকে অনুসরণ করতে গিয়েই একরকম অপরিকল্পিত সন্তান নীল মুকুট এর জন্ম হয়েছে। কোনো উৎসবে পাঠানোর আগে দেশে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দিয়েও করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর ২৭শে মার্চ সিনেমাটির মুক্তি বাতিল হয়ে যায়।