পর্নো সিনেমা বানানোর মামলায় বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রা গ্রেপ্তার হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
তার এ ব্যবসায় আসার পেছনে শৈশবের দারিদ্র্য কাজ করেছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্নো ভিডিও তৈরি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন রাজ। সোমবার মুম্বাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার পর তদন্তে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
বিপুল সম্পত্তির মালিক নামকরা এ ব্যবসায়ীর শৈশব কেটেছে দারিদ্র্যে। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্প বলেছিলেন রাজ। গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেই সাক্ষাৎকার আবার আলোচনায় ফিরেছে।
শিল্পা শেঠির স্বামী ওই সময় জানিয়েছিলেন, লন্ডনে তার বাবা বাসচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। মা কাজ করতেন একটি কারখানায়। দুজনের উপার্জনে তাদের সংসার চলত কষ্টে।
রাজ সেখানে বলেন, ‘১৮ বছর বয়সে কলেজ ছাড়ার পর আমি নিজেকে তৈরি করেছি। এখন আমি বেপরোয়াভাবে খরচ করি। সে বিষয়ে শিল্পা কিছু বললে, আমি ওকে বলি আমার উপার্জন করা টাকা খরচ করতে আমার কোনো অসুবিধা নেই।’
‘আমি দারিদ্র্যকে এত বেশি ঘৃণা করেছি যে, আমি বড়লোক হতে চেয়েছি। আমি আমার জীবনে বদল এনেছি’-যোগ করেন এ ব্যবসায়ী।
রাজ গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার এ সাক্ষাৎকার ফেসবুক ও টুইটারে ফের দিয়েছেন অনেকে। দুই দিন আগে তার আরও একটি টুইট নিয়েও নানা মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। সেখানে ‘পর্নো বনাম যৌনপেশা’ নিয়ে নিজের বক্তব্য রেখেছিলেন রাজ।
এ ছাড়া কপিল শর্মার সঙ্গে তার একটি পুরনো সাক্ষাৎকারও নতুন করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে রাজের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা এবং আয় নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন কৌতুক অভিনেতা।
পর্নো সিনেমা বানানোর মামলায় বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। আপাতত ২৩ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতেই থাকতে হবে তাকে।