অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সিনেমা দেখার নতুন প্ল্যাটফর্ম সিনেবাজ যাত্রা শুরু করেছে ১৫ জুলাই। এটি শাপলা মিডিয়ার একটি ভেঞ্চার। আপাতত সাবস্ক্রাইবাররা অ্যাপটিতে ফ্রি দেখতে পাচ্ছেন টুঙ্গিপাড়ার মিঞাভাই সিনেমাটি। শিগগিরই অ্যাপে আসবে নতুন সিনেমা। কিন্তু এই শিগগিরটা কবে?
তাছাড়া প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া থেকে বেশ কিছু সিনেমা নির্মিত হচ্ছে কলকাতার অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে। প্রতিষ্ঠানটির পরিকল্পনা কী?
এসব বিষয় নিয়ে সিনেবাজ অ্যাপ ও শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক সেলিম খান কথা বলেছেন নিউজবাংলার সঙ্গে।
সিনেবাজে নতুন সিনেমা কবে আসবে?
এখন সিনেবাজ পরীক্ষামূলকভাবে চলছে। আশা করি তিন মাসের মধ্যে এই পরীক্ষামূলক বিষয়টা উঠে যাবে।
এর মধ্যে আমরা আরেকটা সিনেমা মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করছি। সেটা হলো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সিনেমা আগস্ট ১৯৭৫।
আমরা চেষ্টা করব ১৫ আগস্ট সিনেমাটি মুক্তি দিতে।
আপনি কলকাতার শিল্পীদের নিয়ে বেশ কিছু সিনেমা প্রযোজনা করছেন এবং সেগুলোর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা ফিল্মস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠান কি কলকাতায় কাজ করবে? বিষয়টা জানতে চাই।
আমি এটাকে যৌথ প্রযোজনা বলি না। আমি বলি দুই বাংলার তারকাদের নিয়ে সিনেমা। সরকারের নীতিমালা মেনে কাজগুলো করছি।
আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন নগণ্য কর্মী। আমার কাছে দেশটাই বড়। আমি দেশের বাইরে কোনো কিছু চিন্তা করি না। দেশের চাহিদা মেটানোর পর যদি দেশের বাইরে কিছু করা যায় তাহলে সেটা আমার দেশের গর্ব বলে মনে করি।
প্রযোজক সেলিম খানের সঙ্গে কলকাতার অভিনেতা দেব (বাঁয়ে)। ছবি: সংগৃহীত
ছুটি, অগ্নিবীণা, ধাঁধা, চক্কর নামের সিনেমাগুলোতে দেখা যাচ্ছে কলকাতার শিল্পী ও শাপলা ফিল্মস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যানারে নির্মিত হচ্ছে। এগুলো কি কলকাতার সিনেমা?
না, এগুলো বাংলাদেশের সিনেমা। সরকারের অনুমতি নিয়ে ভারতীয় শিল্পীদের নিয়ে সিনেমাগুলো করা হবে। এগুলো বাংলাদেশে আগে মুক্তি পাবে। তারপর আমরা অ্যাপে তুলব। সরকারের নিয়ম মেনে শিল্পী বাংলাদেশে এনে, দেশের বাইরে শুটিংয়ের ব্যবস্থা করে, দেশে সিনেমা মুক্তি হবে।
তাহলে কি শাপলা মিডিয়া আর শাপলা ফিল্মস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড একই প্রতিষ্ঠান, নাকি আলাদা?
দুটি একই প্রতিষ্ঠান। আমরা জয়েন স্টক কোম্পানি করার জন্য চেষ্টা করতেছি। এখন আমরা শুধু দেশেই সিনেমা করব। পরে সুযোগ হলে দেশের বাইরে সিনেমা করার চেষ্টা করব।
আমি সরকারের কাছ থেকে শাপলা ফিল্মস ইন্টারন্যাশনাল নামে প্রত্যয়ন নিয়েছি।
ছুটি, অগ্নিবীণা, ধাঁধা, চক্কর সিনেমাগুলোর পরিচালক শামীম আহমেদ রনী। একজনকে দিয়ে এত সিনেমা নির্মাণ করানোর কারণ কী?
সে ভালো মেকার।
ভালো মেকার তো আরও অনেকেই আছেন। তাদের দিয়ে কাজ করাতে পারেন চাইলে। সে ক্ষেত্রে দর্শকরা ভিন্ন ভিন্ন লুক পাবে।
আমার ঘর থেকে মাফিয়া, গ্যাংস্টার, আন্ডারওয়ার্ল্ড সিনেমাগুলো হচ্ছে ও হবে। এখানে শাহিন সুমন ছাড়াও আরও অনেক পরিচালক কাজ করছেন।
ধরেন শার্ট কিনতে গেলেন দোকানে। একটা শার্ট পছন্দ হলো দাম পাঁচ হাজার টাকা। পাশের দোকানে একই জিনিস পেলেন তিন হাজার টাকায়। সবাই তো পাশের দোকান থেকেই শার্টটা কিনবে, তাই না।
আমি যা চাচ্ছি সেটা যিনি দিতে পারবেন, আমি তাকে নিয়ে কাজ করতে চাই। লো বাজেটে ভালো কাজ যদি প্রত্যেক পরিচালক দিতে পারেন, আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করব।
যদি ধরে নিই, কলকাতার শিল্পীদের নিয়ে, বাংলাদেশে বা কলকাতায় শুটিং করতে দেশের সিনেমা নির্মাণের খরচের চেয়ে বেশি খরচ করতে হয়, তাহলে এমন বিনিয়োগে কেন যাচ্ছেন?
আমরা ইন্টারন্যাশনাল নিয়ে চিন্তা করি। ইন্টারন্যাশনাল মানের মুভি করব কম খরচে। কম খরচ পেয়েছি জন্যই করছি।