দুজনেই নামকরা, তবে একজন ক্যামেরার সামনে, আরেকজন ক্যামেরার পেছনে। শুটিং স্পটে ক্যামেরার সামনে ও পেছনের যে চিরন্তন মেলবন্ধন, সেটাই সাস্তব জীবনে ঘটেছে তিশা ফারুকীর। দাম্পত্য জীবনের ১১ বছর কাটিয়ে দিলেন অভনেত্রী-পরিচালক জুটি।
নুসরাত ইমরোজ তিশা দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা- সবখানেই তিনি নিজের জাত চিনিয়েছেন। দখল করে নিয়েছেন দর্শকের হৃদয়।
অন্যদিকে ফারুকী দেশের গন্ডি পেরিয়ে নিজেকে পরিচিত করেছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। তার গল্প ভাবনায় বরাবরই চমকে গেছন দর্শকরা, হয়েছেন বিভক্তও।
এই দুই শিল্পী বিয়ে করেন ২০১০ সালে। তাদের ঘরে এখনও কোনো সন্তান নেই।
বিয়ে বার্ষিকীর রাতে কেক কেটে বিশেষ দিন উদযাপন করেছেন তিশা-ফারুকী। নিজেদের ও কেকের ছবি পোস্ট করে স্ত্রী তিশাকে নিয়ে দুটি লাইন লিখেছেন ফারুকী। তিশাও লিখেছেন ফারুকীকে নিয়ে।
ফারুকী লিখেছেন, ‘ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, এই অসাধারণ মানুষটার সঙ্গে এগার বছর এক সঙ্গে। জীবন নামের এই যাত্রায় তোমাকে পাশে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে! শুভ বিয়ে বার্ষিকী, তিস্কু।’
১১তম বিয়ে বার্ষিকীতে ফারুকীকে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন তিশা। ছবি: সংগৃহীত
একই ছবি দিয়ে নুসরাত ইমরোজ তিশা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ফারুকীকে নিয়ে লিখেছেন দুই লাইনে।
তিশা লিখেছেন, ‘ভদ্রমহিলা ও ভদ্রলোকগণ, এই বড় বাচ্চার সঙ্গে এগারো বছর হয়ে গেছে! তুমি যেমন আমাকে পাশে পেয়ে নিজেকে ধন্যমনে করছ। আমিও তাই মনে করছি। শুভ বিয়ে বার্ষিকী সোরো।
এর আগে অনেকবারই নিজেদের প্রেমের গল্প গণমাধ্যমে জানিয়েছেন তিশা-ফারুকী। সেই গল্পে তিশা জানিয়েছিলেন, ফারুকী তাকে প্রথম বলেছিলেন ভালোবাসার কথা।
কাজের সূত্রে তিশা তখনও ফারুকীকে ‘ভাইয়া’ বলেই ডাকত। ফারুকী-তিশার প্রেম শুরু ‘সিক্সটি নাইন’ নাটক করতে গিয়ে।
প্রেম নিবেদনের আগের কথা বলতে গিয়ে ফারুকী বলেছিলেন, ‘তিশাকে সরাসরি ভালোবাসার কথা জানানোর আগে ইঙ্গিত দিয়ে কথা বলতাম। এই যেমন বলতাম, তিশা, তোমার যদি কোনো বড় বোন থাকত, তাহলে আমি তাকে বিয়ে করতাম।’