কোরবানির ঈদ সামনে রেখে নাটক নির্মাণ করছেন প্রযোজক-পরিচালক ও টিভি কর্তৃপক্ষ। তবে বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের শাটডাউন তৈরি করেছে চরম অনিশ্চয়তা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শাটডাউন সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপনে শুটিং নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো কিছু বলা হয়নি। তবে জানানো হয়েছে, জনসমাগম হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। আরও বলা হয়েছে অতি জরুরি কাজ ছাড়া কেউ যেন ঘরের বাইরে বের না হন।
এমন নির্দেশের পর নাটকের শুটিং কীভাবে চলবে- এমন প্রশ্নে প্রযোজক-পরিচালক নেতারা পরিষ্কার কোনো পরিকল্পনা জানাতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা দুই দিক থেকেই সমস্যায়। শুটিং বন্ধ অথবা চালু রাখার বিষয়ে নির্দিষ্ট করে বলছি না। কারণ, শুটিং বন্ধ করলে নাটকসংশ্লিষ্ট মানুষগুলো বিপদে পড়বেন। অন্যদিকে শুটিং করতে বললে সরকারের নির্দেশ অমান্য করা হবে।’
ডিরেক্টর্স গিল্ডের সভাপতি সালাউদ্দিন লাভলু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখনও কোনো জায়গা থেকে ক্লিয়ারেন্স পাইনি। চ্যানেল হয়তো আমাদের কিছু সাহায্য করবে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি কীভাবে নেবে, সেটা বুঝতে পারছি না। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
নাটকের শুটিংয়ের মুহূর্ত। ছবি: সংগৃহীত
ঈদের সময়ে এবারও টিভি ও অনলাইনে নতুন নাটক প্রচার হবে। তবে তার প্রস্তুতি শেষ করতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠান প্রধান টিভি চ্যানেল দীপ্তর একটি সূত্র জানায়, তাদের ঈদ আয়োজনের তিন ভাগের মাত্র এক ভাগ নাটক শেষ হয়েছে। বাকি দুই ভাগ কাজ কীভাবে হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় কর্তৃপক্ষ।
আরটিভি সূত্র জানিয়েছে, এবার ঈদের জন্য ৪৩টি নাটক হাতে এসেছে। এ ছাড়া সাত পর্বের একটি নাটকের কাজও শেষ হয়েছে। অল্প কিছু নাটক এখনও বাকি আছে। সেগুলো কীভাবে হবে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে, ইউটিউবে নাটক প্রচারের প্রস্তুতি অনেকটাই শেষ করে এনেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার শাহেদ আলী পাপ্পু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এবার ঈদে ১০ থেকে ১২টি নাটক প্রচার করব। তার সবই আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে।’
নাটকের শুটিংয়ে পরিচালক ও অভিনয়শিল্পী। ছবি: সংগৃহীত
দেশীয় নাটকের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী মেহজাবিন নিউজবাংলাকে জানান, লকডাউনের মধ্যে কোনো শুটিং করছেন না তিনি।
সময়মতো শুটিং শেষ করতে না পারলে ঈদের জন্য নাটক জমা দিতে পারবেন না অনেক প্রযোজক-পরিচালক। এতে করে ক্ষতিতে পড়বেন তারা। আবার শুটিং করতে চাইলে অমান্য করা হবে সরকারের নির্দেশ। এমন অবস্থায় চূড়ান্ত দোটানায় ভুগছেন নাটকের নির্মাতা-প্রযোজকেরা।