সামনে কোরবানির ঈদ। ঈদকে কেন্দ্র করে সব সময়ই জমজমাট থাকে টিভি আয়োজন। নির্মিত হয় প্রচুর নাটক। তারকা শিল্পীরা ছাড়াও সহশিল্পীসহ কলাকুশলীরা সাধারণ সময়ের চেয়ে ঈদ উৎসবে ইনকাম করেন বেশি।
কয়েক বছর ধরে অনলাইনের জন্য নাটক নির্মাণের প্রবণতা বেড়েছে। তাই স্বাভাবিক সময়ে অনেক নাটক নির্মিত হয় এখন।
কিন্তু দুই বছর ধরে করোনার প্রভাবে ঈদে কাজের পরিমাণ চলে এসেছে অর্ধেকে বা তারও কমে।
গত বছরের দুই ঈদ ও ভ্যালেনটাইন ডে, চলতি বছরেও এক ঈদ ও ভ্যালেনটাইন ডেতে কাজ হয়নি তেমন একটা। আসছে কোরবানি ঈদ, এই ঈদেও করোনার জন্য নাটক নির্মাণ করতে পারছেন না অনেকে।
কিন্তু নাটকের শিল্পী ও কলাকুশলীদের জীবনধারণ ও অর্থনৈতিক অবস্থার কথা চিন্তা করে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে যেন নাটক নির্মাণ করা যায়, তারই চেষ্টা করছেন নাটকের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই সময় শুটিং করা যাবে কি না? এটাই সবার প্রশ্ন।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম। ছবি: সংগৃহীত
নিউজবাংলাকে এই বিষয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম বলেন, ‘আমরা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। তবে চেষ্টা করছি যেন শুটিং করা যায়। কম মানুষ নিয়ে, ইনডোরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন সবাই শুটিং করতে পারেন, সে বিষয়েই আলোচনাসহ পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করছি।’
নাটকের বেশির ভাগ শুটিং হয় উত্তরা ও পুবাইলে। এসব জায়গার পুলিশ যেন নাটকের শুটিংয়ের ব্যাপারে অবগত থাকে সে জন্য আগে থেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছেন নাটকের পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টর্স গিল্ডের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন লাভলু।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ঈদের সময়টা নাটকের শিল্পী, কলাকুশলীদের জন্য আয়ের ভালো একটি সময়। করোনার কারণে তো সবার অবস্থাই খারাপ। তাই ঈদে যেন তারা কাজ করতে পারেন, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
ডিরেক্টর্স গিল্ডের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন লাভলু। ছবি: সংগৃহীত
তিনি আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে ডিএমপি, গাজীপুর পুলিশ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি আমরা। যেন শুটিংয়ের বিষয়টি নিয়ে তারা অবগত থাকে। তাদের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাইনি। মনে হচ্ছে শুটিং আমরা করতে পারব।’
টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ইরেশ যাকের। ছবি: সংগৃহীত
টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ইরেশ যাকের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আশা করছি আমরা শুটিং করতে পারব। তবে আগের মতো করে তো আর কাজ করা যাবে না। বিধিনিষেধ আছে। সবার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চয়ই আমরা শুটিং করার পক্ষে সিদ্ধান্ত রাখতে পারব।’
শুটিং করতে গেলে পরিচালক, শিল্পী, কলাকুশলীদের মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। সে ক্ষেত্রে শিল্পী, কলাকুশলীদের মুভমেন্ট পাস লাগবে কি না জানতে চাইলে ট্রাফিক দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।’