রাজধানীর মিরপুরের নামকরা সিনেমা হল সনি সিনেমা। ১৯৮৬ সালের আগস্ট মাসে চালু হয় সিনেমা হলটি। ভবনের পুরোটাই ছিল সিনেমা হল। টিকিটের দামের ভেদে ওপরে-নিচে বসতেন দর্শকরা। মোট ১২০০ আসন ছিল প্রেক্ষাগৃহটিতে।
পুরনো এই সিনেমা হলটি আর আগের মতো নেই। সনি সিনেমা এখন সনি স্কয়ার। চারতলাবিশিষ্ট এই ভবনটি পরিণত হয়েছে বিপণিবিতান ও সিনেপ্লেক্সে।
ভবনটির চতুর্থ তলায় থাকছে স্টার সিনেপ্লেক্সের তিনটি হল। যার আসনসংখ্যাও হবে সীমিত। বিপণিবিতানসহ এতে আরও আছে খাবার দোকান, প্লে জোন, ওয়েটিং স্পেস।
সম্প্রতি সনি স্কয়ারের কিছু ছবি প্রকাশ পেয়েছে অনলাইনে। চোখ ধাঁধানো নকশায় নতুন করে সাজানো হয়েছে ভবনটির ভেতরের অংশ। যেখানে দেখা যাচ্ছে সিঁড়িসহ ভবনের বিভিন্ন অংশে আলোকসজ্জা। এ ছাড়া ভবনটিতে ঢুকতেই গ্রাউন্ড ফ্লোরে গোলাকার একটি জায়গায় রয়েছে পানির প্রবাহ।
সনি স্কয়ারের ভেতরের সাজসজ্জা। ছবি: সংগৃহীতছবিগুলো ফেসবুকে প্রকাশ হওয়ার পর অনেকে মন্তব্য করেছেন যে, এগুলো স্টার সিনেপ্লেক্সের নকশা। কিন্তু না, প্রকাশিত ছবিগুলো মূলত সনি স্কয়ারের বিভিন্ন অংশের সাজসজ্জা। সিনেপ্লেক্স কীভাবে সাজানো হয়েছে তা পুরোপুরি প্রকাশ পায়নি।
সনি স্কয়ারে রাখা হয়েছে সিনেমা দেখানোর পুরনো মেশিন। ছবি: সংগৃহীতনিউজবাংলাকে বিষয়গুলো জানান চলচ্চিত্র প্রযোজক ও সনি স্কয়ারের (সনি সিনেমা) মালিক মোহাম্মদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘সনি স্কয়ার আমরা বুধবার (২৩ জুন) চালু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জেলা প্রশাসক আমাদের অনুমতি দেননি। করোনা পরিস্থিতির কারণেই তিনি এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকের অনুমতি পেলেই আমরা সনি স্কয়ার চালু করব।’
অন্যদিকে স্টার সিনেপ্লেক্স কবে চালু হবে তা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। সনি স্কয়ার চালু হওয়ার সঙ্গেই স্টার সিনেপ্লেক্স চালু নাও হতে পারে। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেক্ষাগৃহ চালু করার আগে সবাইকে বিষয়টি জানানো হবে।