বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’ হিসেবে পরিচিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত যেন বিতর্কের মধ্যমণিতেই থাকতে ভালোবাসেন। সম্প্রতি, নানা বিতর্কের জেরে তার টুইটার অ্যাকাউন্টটিও বন্ধ করে দিয়েছে স্বয়ং টুইটার কর্তৃপক্ষ।
তারপরেও বিতর্কিত মন্তব্য করা বাদ দেননি কঙ্গনা। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বঘোষিত অনুগামী এই অভিনেত্রী হামেশাই দেশপ্রেমের বুলি ওড়াতে ভালোবাসেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।
এবার কঙ্গনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন ইংরেজদের দেয়া ‘ইন্ডিয়া’ নাম মুছে ফেলা হোক। ইন্ডিয়ার বদলে দেশের নাম ‘ভারত’ থাকুক।
সেই পোস্টে কঙ্গনা লেখেন, ‘ভারত তখনই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরতে পারবে, যখন দেশটি তাদের আধ্যাত্মিকতা ও প্রজ্ঞায় মোড়ানো প্রাচীন আমলের অসাধারণ সভ্যতায় ফিরতে পারবে। বিশ্ব আমাদের তাকিয়ে দেখবে এবং আমরা বৈশ্বিক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হব। আমরা নগরায়ণের দিকে এগিয়ে যাব, তবে পশ্চিমা বিশ্বকে নকল করে নয়। আমরা আমাদের শেকড় বেদ, গীতা ও যোগব্যায়াম ধরে রাখব। আমরা কি দাসত্বের নাম ইন্ডিয়া থেকে ভারতে ফিরে আসতে পারি না?’
এই অভিনেত্রী বলছেন, ভারতের নাম ইন্ডিয়া দিয়েছে ব্রিটিশরা। ইন্ডিয়ার আক্ষরিক অর্থ সিন্ধু নদের পূর্ব দিক। বলুন তো, কেউ কি কোনো সন্তানকে আলাদা আলাদা অঙ্গের নামে ডাকতে পারে। বিষয়টির গোড়াতেই গলদ রয়েছে।
‘এবার ভারত নাম নিয়ে বলতে দিন। নামটি তিনটি সংস্কৃত শব্দ থেকে এসেছে। তিনটি সংস্কৃত শব্দ—‘ভা’ অর্থে ‘ভাব’, ‘র’ অর্থে ‘রাগ’ ও ‘ত’ অর্থে ‘তাল’ মিলিয়ে ভারত শব্দটি তৈরি হয়েছে।’
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত
এখানেই শেষ করেননি কঙ্গনা। বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের পূর্বপুরুষরা দাসত্বের মধ্যে ছিল। সভ্যতার সঙ্গে সংস্কৃতি, রীতিনীতি ও সৌন্দর্যবোধের ব্যাপারগুলোও বিবর্তিত হয়েছে। প্রত্যেকটা নামেরই একটা প্রাণ আছে। ব্রিটিশরা এটা জানত। আর তাই তারা বিভিন্ন জায়গার ও স্থাপনায় নতুন নতুন নাম দেয়। আমাদের অবশ্যই হারানো খ্যাতি ফিরিয়ে আনতে হবে। ভারত নাম দিয়েই হোক শুরু।’
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত
কঙ্গনার এই যুক্তি অনেকে সমর্থন করলেও একমত নন অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন কঙ্গনা ভারত নামের উৎস সম্পর্কেই জানেন না। তারা বলছেন, পুরাণকাহিনি শকুন্তলা আর দুষ্মন্তের পুত্র ভরত রাজার নাম থেকে এসেছে ‘ভারত’।