ঢাকা অল কমিউনিটি ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের খবরের পর রাজধানীর আরেক ক্লাবে অপ্রীতিকর আচরণের অভিযোগ উঠেছে অভিনেত্রী পরীমনির বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ তুলেছে রাজধানীর বনানী ক্লাব।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বনানী ক্লাবের প্রেসিডেন্ট রুবেল আজিজ বলেন, ‘এটা ৭ মাস আগের ঘটনা। এটা আমি এখনও জানতাম না, যদি না অন্যান্য ক্লাবগুলো থেকে এমন ঘটনা বের হতো। একজন আমাকে জানাল যে, জানেন প্রেসিডেন্ট সাহেব, এই মেয়েটা বনানী ক্লাবেও এমন করেছে। এই কথা শুনে আমি খবর নিলাম।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রুবেল আজিজ বলেন, ‘বনানী ক্লাবে তাদের একটা অনুষ্ঠান ছিল। সম্ভবত কোনো সিনেমার লঞ্চিং প্রোগ্রাম। সেখানে পরীমনি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে অ্যালকোহল আর ছিল না। কিন্তু তাকে অ্যালকোহল দিতেই হবে, এমন একটা পরিস্থিতি। এ জন্য তিনি অপ্রীতিকর আচরণ করেন।’
বনানী ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি গত পরশু সেই অনুষ্ঠানে থাকা বেয়ারাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কথা বলে অপ্রীতিকর আচরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
কিন্তু এত দিন কেন বিষয়টি নিয়ে কথা ওঠেনি জানতে চাইলে রুবেল আজিজ বলেন, ‘এই ধরনের ক্লাব ফাংশনে এমন ঘটনা ঘটে। বার থাকলে সেখানে এমন অনেক ঘটনাই অতীতে ঘটেছে, এখনও ঘটছে।’
অভিনেত্রী পরীমনি। ছবি: নিউজবাংলা
তিনি আরও বলেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি কেন আমাদের রিপোর্ট করা হয়নি, সেটা একটা মিসটেক। তবে এরও একটা কারণ আছে।’
কারণটি ব্যাখ্যা করে রুবেল আজিজ বলেন, ‘সাধারণত অনুষ্ঠানের পর বেয়ারাদের অনেকেই বকশিস দেয়। যে বেয়ারারা সেখানে কাজ করছিল তাদের বলা থাকতে পারে যে তোমরা এগুলো কিছু বলো না, এটা আমাদের ইনটার্নাল ম্যাটার। এমন ক্ষেত্রে বকশিসটাও বেশি পাওয়া যায়।’
অপ্রীতিকর আচরণের প্রসঙ্গে রুবেল আজিজ বলেন, ‘পরীমনির সঙ্গে নাকি একটি মেয়ে ছিল, সেই মেয়েকে অনেক চর থাপ্পর দিয়েছে, লাথি মেরেছে।’
স্ফুলিঙ্গ সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানে সিনেমার পরিচালক ও শিল্পীরা। ছবি: নিউজবাংলা
রুবেল আজিজ যে অনুষ্ঠানের কথা বলছেন সেটি ছিল তৌকীর আহমেদ পরিচালিত স্ফুলিঙ্গ সিনেমার মহরত অনুষ্ঠান। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’। তবে প্রযোজকরা শুরু থেকেই আড়ালেই ছিলেন। সবকিছুর দেখভাল করেছেন তৌকীর আহমেদ।
বিষয়টির সত্যতা জানতে তৌকীর আহমেদকে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরীমনির এই অপ্রীতিকর আচরণের জন্য কোনো আইনি সাহায্য নেয়নি বনানী ক্লাব। এর কারণ জানিয়ে রুবেল আজিজ বলেন, ‘এই মেয়ের সঙ্গে তো আমার কোনো শত্রুতা নেই। আইনি পদক্ষেপ কেন নেব। তবে একটা জিনিস খারাপ লাগে যে, ক্লাবগুলোতে একটি রেস্ট্রিকটেড জোন থাকে, যেখানে সোশ্যালি সবাই ড্রিংক করেন। তা ছাড়া বাকি জায়গা কিন্তু খেলাধুলা, সামাজিক কাজ ও ফ্যামিলি নিয়ে সময় কাটান সদস্যরা।
অভিনেত্রী পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত
‘কিন্তু এই ধরনের অভিযোগ আসার কারণে সবাই মনে করেন, ক্লাবে মনে হয় সবসময় অ্যালকোহলই খাওয়া হয়, এ ছাড়া ক্লাবে আর কিছু হয় না। এটা দুঃখজনক।’
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখনো কোনো জবাব পাওয়া যায়নি পরীমনির। কয়েকদিন ধরেই তার ফোন বন্ধ।