রিয়া সেন অভিনীত সিনেমা বা ফটোশুট মানেই যেন শরীরী অভিব্যক্তি, অতিরিক্ত ছোট পোশাক। সাঁতারের পোশাকেও তাকে প্রায়ই দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তুলতে।
এসব কারণেই হয়তো দর্শকদের কাছ থেকেও রিয়ার শুনতে হয় ‘মারাত্মক উষ্ণ’ বা ‘সেক্সি’ শব্দগুলো।
সুচিত্রা সেনের ছোট নাতনি রিয়ার ক্ষেত্রে ‘সেক্সি’ ট্যাগ নতুন নয়। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই তাকে দেয়া হয় এ তকমা।
শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানিয়েছেন রিয়া। একই কারণে বলিউডে অভিনয় শুরু করেও সেখানে টিকে থাকতে পারেননি তিনি।
রিয়া বলেন, ‘মাত্র ১৬ বছর বয়সে স্কুলে পড়ার সময় প্রথম শুনি, আমি সেক্সি! সেই শুরু। ছোট বয়স থেকেই যৌনতার এই তকমা নিয়ে চলতে হয়েছে আমার।’
রিয়া জানান, এই কথা শুনতে শুনতে হাঁফিয়ে উঠতেন তিনি। অভিনয় শুরু কারার পর, সেখানেও ঘটে একই ঘটনা। তাকে আবেদনময়ী করে উপস্থাপন করা হতো।
রিয়া বলেন, ‘তখন আমি ছোট। পরিচালকরা যা বলতো, তাই করতাম। ছোট পোশাক পরতে রাজি হতাম। বেশি মেক-আপ করতাম। বুঝতে পারিনি যে এটাতে আবেদন আরও বেড়ে যেত।’
রিয়া অকপটে স্বীকার করে বলেন, ‘এখন বুঝি, অনেক সিনেমায় অভিনয় করেও কেন হাতেগোনা কয়েকটি দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছিল। সবাই কেন বলতেন, রিয়া বাজে অভিনেত্রী। কেবল যৌন আবেদনময়ী। দর্শক, সমালোচকদের কোনো দোষ নেই। আমাকে প্রায় সব ছবিতেই ওইভাবে দেখানো হয়েছিল।’
অভিনয় থেকে অনেক দূরে এখন রিয়া সেন। কিন্তু এখন যখন তার অভিনীত সিনেমা দেখেন, নিজেই সেটা বুঝতে পারেন। লজ্জায় নিজেকে আড়াল করে ফেলতে চান। তার মনে হয়, যেটা তিনি নন সেটাই জোর করে দিনের পর দিন পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন।
রিয়ার দাবি, সবাই মনে করতেন পর্দার আর বাস্তবের রিয়া এক। কিন্তু তত দিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। দর্শক মনে ছাপ ফেলেছে তার অভিনীত মানহীন সিনেমা। তাই ভাবমূর্তি বদলাতে বলিউড থেকে, অভিনয় থেকে এক সময় নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হন তিনি।