অভিনয়শিল্পীদের সার্বিক কল্যাণ ও নির্বিঘ্নে কাজ করে যাওয়া নিশ্চিত করতে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২০’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন হয় গত বছরের ২৩ নভেম্বর। আইনটি এখন সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রয়েছে পাস হওয়ার অপেক্ষায়।
আইন অনুযায়ী শুধু চলচ্চিত্রের শিল্পীরাই এই ট্রাস্টের সুবিধা পাবেন। তবে এবার দাবি উঠেছে, ট্রাস্টের আওতায় নাটকের শিল্পীদেরও আনা হোক।
বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন চলচ্চিত্র ও নাটকের শিল্পীরা। চলচ্চিত্রের বাইরের শিল্পীদের জন্য আলাদা বা চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টে সব শিল্পীকে যুক্ত করার দাবি জানান অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম।
তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পীদের জন্য ট্রাস্ট আছে, নাটকের অভিনয়শিল্পীদের জন্য কোনো কিছু নেই। মাননীয় মন্ত্রীকে অনুরোধ করব, নাটকের শিল্পীদের জন্য আলাদা একটি ট্রাস্ট করার জন্য। অথবা চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টেই নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সমন্বয় করার।’
সেলিমের এই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি অভিনেতা মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ‘শিল্পী তো শিল্পীই, সে নাটকের হোক বা সিনেমার। এই প্রস্তাবে আমার সমর্থন আছে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেত্রিবৃন্দ। ছবি: সংগৃহীত
তাদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট্রের আওতায় সিনেমা, স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাসহ সিনেমাসংশ্লিষ্টদের অনেককে নিয়েই কাজ করার কথা ভাবছি। চলচ্চিত্র ও নাটকের শিল্পী সমিতি যদি নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় আসতে চায় তাহলে কোনো সমস্যা নেই।’
এ সময় সিনেমা ও নাটকের শিল্পীদের সংসদীয় কমিটির সভাপতির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
বিদেশি শিল্পীদের নিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণ করলে প্রত্যেক শিল্পীর জন্য ২ লাখ টাকা করে ফি দিতে হবে মন্ত্রণালয়কে। এই ফি ২ লাখ থেকে ৫ লাখ করার প্রস্তাব দেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি অভিনেতা মিশা সওদাগর।
তবে মন্ত্রী প্রস্তাবে সাড়া দেননি।
তিনি বলেন, ‘এটা এখন ২ লাখ টাকাই থাক। প্রয়োজন হলে আগামীতে এই অর্থ বাড়ানোর সুযোগ আছে।’