কয়েক দিন ধরেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপকভাবে আলোচিত নাম টালিউড অভিনেত্রী ও তৃণমূলের সাংসদ নুসরাত জাহান।
সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়ে গুঞ্জনের মাঝেই স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এই অভিনেত্রী।
বুধবার দুপুরে এক বিবৃতিতে নুসরাত বলেন, ‘বিয়ে নয়, নিখিলের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলাম। ফলে বিবাহবিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।’
গণমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশের পরে হইচই শুরু হয়ে যায় সাধারণ মানুষসহ রাজনীতি ও শোবিজ অঙ্গনে।
কিন্তু নুসরাতের এই ‘বিয়ে নয়, লিভ-ইন’ দাবির সঙ্গে মিলছে না সরকারি নথির তথ্য। সেখানে দেখা যাচ্ছে নুসরাত বিবাহিত।
লোকসভার ওয়েবসাইটে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জয়ী তৃণমূল সাংসদদের যে তালিকা দেয়া রয়েছে সেখানে নুসরাতের নামও রয়েছে। নামের ওপর ক্লিক করলেই দেখা যাচ্ছে তথ্য।
সেখানে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে তিনি বিবাহিত। বিয়ের তারিখ উল্লেখ রয়েছে ২০১৯ সালের ১৯ জুন। আর স্বামীর নাম নিখিল জৈন।
লোকসভার ওয়েবসাইটে দেয়া অভিনেত্রী নুসরাতের বিয়ের তথ্য। ছবি: সংগৃহীত
দুই পরিবারের কিছু সদস্য ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই সুদূর তুরস্কে বেশ জমকালোভাবেই হয়েছিল তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
পরে কলকাতায় ফিরে একটা বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানও করেছিলেন নুসরাত-নিখিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ টালিউডের একঝাঁক তারকা।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় নুসরাত ও নিখিল জৈন। ছবি: সংগৃহীত
প্রায় দুই বছর পরে নুসরাত এখন দাবি করছেন ‘বিয়ে নয়, লিভ-ইন’ সম্পর্কে ছিলেন তারা। তাই বিবাহবিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।
তুরস্কের বিবাহ আইন অনুসারে এই অনুষ্ঠান অবৈধ। উপরন্তু হিন্দু-মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ে করা উচিত তা এ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়নি। আইনের চোখে এই বিয়ে বৈধ যখন নয় তখন বিবাহবিচ্ছেদের কথা আসে না।
টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরাত জাহান। ছবি: সংগৃহীত
সেই প্রসঙ্গ টেনে নুসরাত জানিয়েছেন, তুরস্কের বিবাহ আইন অনুসারে ওই অনুষ্ঠান অবৈধ। উপরন্তু হিন্দু-মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ যে আইন রয়েছে তা অনুসরণ করা হয়নি।
সেই অনুযায়ী নুসরাতের দাবি, যে বিয়ে আইনত সিদ্ধ নয়, সেই বিবাহবিচ্ছেদের প্রয়োজন নেই।