বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত মারা গেছেন

  •    
  • ১০ জুন, ২০২১ ১১:৫৭

স্বপ্নের দিন ও উত্তরা সিনেমার জন্য পরিচালক হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। এ ছাড়া তার ৫টি সিনেমা সেরা ছবি হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়। বাংলার সেরা ফিচার ফিল্মের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে বুদ্ধদেবের আরও দুটি সিনেমা দূরত্ব এবং তাহাদের কথা।

ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত আর নেই।

বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার নিজ বাসায় ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার। ধারণা করা হচ্ছে, সকাল ৬টার দিকে মৃত্যু হয়েছে বুদ্ধদেবের।

অনেক দিন ধরেই তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বার্ধক্যজনিত সমস্যা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

বুদ্ধদেবের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল অধ্যাপনা দিয়ে। পরে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন শুরু হয় ১৯৬৮ সালে; ১০ মিনিটের তথ্যচিত্র কন্টিনেন্ট অফ লাভ দিয়ে।

প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা দূরত্ব মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। এরপর নিম অন্নপূর্ণা, গৃহযুদ্ধ, তাহাদের কথা, চরাচর, লাল দরজা, উত্তরা, মন্দ মেয়ের উপাখ্যান, আমি ইয়াসমিন আর আমার মধুমালা, কালপুরুষ, আনোয়ার কা আজব কিসসার মত চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তিনি।

স্বপ্নের দিন ও উত্তরা সিনেমার জন্য পরিচালক হিসেবে বুদ্ধদেব পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। এ ছাড়া তার ৫টি সিনেমা- বাঘ বাহাদুর, লাল দরজা, চরাচর, মন্দ মেয়ের উপাখ্যান, কালপুরুষ সেরা সিনেমা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।

বাংলার সেরা ফিচার ফিল্মের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় বুদ্ধদেবের আরও দুটি সিনেমা দূরত্ব এবং তাহাদের কথা।

চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে খ্যাতি থাকলেও বুদ্ধদেবের চলাচল ছিল সাহিত্যজগতেও। কবি বুদ্ধদেবের কলমে উঠে এসেছে একাধিক কবিতা। তার কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘রোবটের গান’, ‘ছাতা কাহিনি’, ‘গভীর আড়ালে’।

তিনি কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন তার মামা সমরেন্দ্র সেনগুপ্তের কাছ থেকে। কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর সঙ্গেও তার ভাল সম্পর্ক ছিল। একসময় তিনি ‘অন্তর্জলী’ নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করতেন। কবি ভাস্কর চক্রবর্তী, শামসের আনোয়ার ছিলেন তার কাছের বন্ধু।

পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার আনারায় ১৯৪৪ সালে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের জন্ম। ৯ ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন বুদ্ধদেব। বাবা ছিলেন ভারতীয় রেলের চিকিৎসক। বাবার কর্মসূত্রে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে কেটেছে বুদ্ধদেবের শৈশব ।

অর্থনীতি নিয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা ও সাহিত্যজগৎ থেকে পরিচালক হয়ে ওঠার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করেছে কলকাতা ফিল্ম সোসাইটি।

কাকার সূত্রে কলকাতা ফিল্ম সোসাইটির সদস্য হয়েছিলেন। সেখানে তার পরিচয় হয় বিশ্বখ্যাত পরিচালক চ্যাপলিন, কুরোসাওয়া, ডি সিকা, রোসোল্লিনির মতো পরিচালকদের পরিচালিত চলচ্চিত্রের সঙ্গে।

করোনা মহামারির জন্য আটকে ছিল তার পরবর্তী পরিকল্পনা। করা হয়ে ওঠেনি জীবনানন্দ দাশ ও তার নিজের কবিতা থেকে চলচ্চিত্র। মার্চ মাসে নতুন চিত্রনাট্য লিখছিলেন বুদ্ধদেব। এক মহিলা গোয়েন্দার গল্প বুনছিলেন তিনি।

সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেনের যোগ্য উত্তরসূরি বুদ্ধদেব দাশগুপ্তকে বাঙালি মনে রাখবে তার নির্মিত চলচ্চিত্র ও সাহিত্যের জন্য।

পরিচালকের প্রয়াণে শোকবার্তা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ বিভাগের আরো খবর