প্রয়াত ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু এক বিজ্ঞাপনে আজম খান সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে তার হাতে রাইফেল বেজেছে গিটারের মতো। স্বাধীন বাংলাদেশে তার হাতে গিটার বেজেছে রাইফেলের মতো। গুরু তোমায় সালাম।’
আজম খান, পপ সংগীত সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি ও তারকা। একইসঙ্গে একজন মুক্তিযোদ্ধা।
তার গানের বিশেষত্ব হলো পশ্চিমা ধাচকে বাদ স্বতন্ত্র রীতি তৈরি করেছিলেন তিনি। আর তা বোঝা যায় তার গানের কথা ও সুরে।
আজম খান তার গানের কথা তুলে আনতেন তার আশপাশের দেখা ঘটনা থেকে। তাইতো তার গানের উঠে এসেছে স্বাধীনতার পর রেল লাইনের বস্তিতে ছেলের জন্য অপেক্ষা করা এক মায়ের গল্প।
সালেকা-মালেকা বা আলাল-দুলালকে নিয়েও গান বেঁধেছেন তিনি। অনামিকা, অভিমানী, আসি আসি বলে গানগুলোতে প্রকাশ পেয়েছে তার ভালোবাসাও।
যুবক বয়সে আজম খান। ছবি: সংগৃহীত
১৯৫০ সালে ঢাকার আজিমপুরে জন্ম তার। বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। কমলাপুরের প্রভেনশিয়াল স্কুলে প্রাথমিক, সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলে বাণিজ্য বিভাগে মাধ্যমিক এবং টি অ্যান্ড টি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।
ব্যান্ড সদস্যদের সঙ্গে আজম খান। ছবি: সংগৃহীত
এরপর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ঢাকায় সংঘটিত কয়েকটি গেরিলা অভিযানে তিনি অংশ নেন।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে গান পরিবেশন করেন আজম খান। সংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।
পপগুরু আজম খান। ছবি: সংগৃহীত
আজম খান দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ক্যানসারে ভুগছিলেন। ২০১১ সালের ৫ জুন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।