সম্প্রতি যে কটি ওয়েব কনটেন্ট নিয়ে আলোচনা চলছে তার মধ্যে দ্য ডার্ক সাইড অব ঢাকা অন্যতম। ১০ জুন এটি প্রকাশ পাবে ওয়েব প্ল্যাটফর্ম আই থিয়েটারে। ওয়েব কনটেন্টটির ট্রেলার প্রকাশ পেয়েছে অনলাইনে।

ট্রেলারে বিভিন্ন অভিনয়শিল্পীকে আলাদা করে দেখা গেলেও অভিনেত্রী নাজিফা তুষির দুটি সংলাপ আলাদা করে ধরা দিয়েছে দর্শকদের কাছে। যার একটি, স্পেশাল কিছু দেখতে গেলে একটি ওয়েট করতে হয়।

আরেকটি সংলাপ নিয়ে তো আরও বেশি মাতামাতি। সংলাপোর প্রথম শব্দটি নিউজবাংলার সম্পাদকীয় নীতিমালার পরিপন্থি হওয়ায় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। সেই শব্দটি বাদ দিলে সংলাপটি দাঁড়ায়, …… এটা তো ট্রেলার, সিনেমাতো এখনও বাকি আছে।

চরিত্র, সংলাপ, ওয়েব কনটেন্টসহ নিজের আরও কিছু কাজ নিয়ে সম্প্রতি নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন নাজিফা তুষি।

ট্রেলারের একদম শেষে তুষির কণ্ঠে শুনতে পাওয়া সংলাপটি নিয়ে তুষি বলেন, ‘যখন আমি একবার ভেবে ফেলি যে, আমি চরিত্রটি করব, তখন আর কম্প্রোমাইজ করি না।

‘চরিত্রটি যা করে, যা বলে আমিও তাই করতে চাই। এটা যদি না করতে পারি তাহলে চরিত্রটি ফুটে ওঠে না আর সেটা না করতে পারা মানে, আমি ব্যর্থ হলাম। সবকিছুর মাধ্যমে চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতে পারার মধ্যেই অভিনেতার আনন্দ। আসি সেটাই করতে চেয়েছি।’

তুষি আরও বলেন, ‘দর্শকরা পুরোটা দেখলে বুঝবেন সংলাপটা একদম ঠিক আছে। চরিত্রটা এতো ডার্ক!’

ট্রেলারে তার দুটি সংলাপ নিয়ে তুষি বলেন, ‘অনেকে মনে করছেন যে, আমার কণ্ঠে যে সংলাপ দুটি বেশি আলোচিত, সেগুলো হয়তো ট্রেলারকে আরও আকর্ষনীয় করার জন্য এবং ট্রেলারের জন্যই বানানো। কিন্ত না, এগুলো কনটেন্টে আছে। সংলাপ দুটি এতো সুন্দর করে ট্রেলারে ব্যবহার করা হয়েছে যে, এগুলো আলোচনায় এসেছে।’

অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে দ্য ডার্ক সাইড অফ ঢাকা সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন তুষি। জানালেন চরিত্রটিতে অভিনয় করার লোভ সামলাতে পারেননি তিনি। তাই সাধারণত যা করেন না, তাই করলেন। অল্প দিনের প্রস্তুতিতেই শুরু করলেন কনটেন্টের কাজ।

তুষি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি এভাবে কাজ করি না। কোনো কাজের প্রস্তাব আসলে কাজটা একজন দর্শক হিসেবে দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু এবার সেটা করতে পারিনি।

‘একইভাবে শিল্পীদের এরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। অনেক কিছুই অ্যাডাপ্ট করে নিতে হয় তাদের। এই গল্পের ক্ষেত্রে আমার একটা সুবিধা ছিল যে, পরিচালক রাফির সঙ্গে আমার আগে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। তাই আরও সাহস পেয়েছি।’

চরিত্রটি কেন লোভনীয়, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তুষি বলেন, ‘প্রথমত আমি যে স্ট্যানডার্ডের কাজ করতে চাই, এটা সেরকম। দ্বিতীয়ত, আমি মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে, অভিনয় করছি, লেখাপড়া করছি। প্রেমের চরিত্রে অভিনয় করাটা আমার জন্য সহজ। কিন্তু যে জীবনটা আমার দেখা নেই, জানা নাই, সেই চরিত্রে কাজ করাটা কিন্তু কঠিন। আমি সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে চেয়েছি, সেকারণেই কাজটি করা।’

তুষি জানান, এটা এমন একটি অমনিবাস চলচ্চিত্র যেখানে একজন পরিচালকই পাঁচটি গল্প নর্মিাণ করেছেন। একেকটি গল্পের চরিত্রই পরের গল্পের চরিত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। দারুণ একটি পদ্ধতি।

তুষি বলেন, ‘এখানে আমার পছন্দের এবং অনেক ভালো ভালো অভিনয়শিল্পী কাজ করেছেন। তবুও আমি চেষ্টা করেছি যেন আমাকে আলাদা করে দর্শকরা আমাকে খুঁজে পায়।’

তুষি অভিনীত সিনেমা হাওয়া আছে মুক্তির অপেক্ষায়। সিনেমাটি তার অনেক কাছের। অনেক কিছু শিখেছেন এই কাজে গিয়ে। সিনেমাটি এখনও মুক্তি পাচ্ছে না বলে কিছুটা হতাশ তিনি। আবার আশাবাদ ব্যস্ত করে বলেন, ‘এ বছরেই মুক্তি পাবে হাওয়া।’

ফেসবুকে তুষির পোস্ট করা ছবিগুলো নজর কাড়বে তার ফলোয়ারদের। এত সুন্দর সুন্দর ছবি কে তুলে দেয় জানতে চাইলে হাসতে হাসতে তুষি বলেন, ‘আমি ছবি তুলতে খুব পছন্দ করি। আমার অনেক বন্ধু আছে যারা ছবি তুলে দেয়। আবার প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফাররাও ছবি তোলে।

‘আমার মনে হয় তারা সবাই আমার ছবি তুলেও বেশ মজা পায়। মডেল হিসেবে আমি বেশ ভালো।’

ভালো কাজ করবেন বলে কম কাজ করবেন তুষি। কিন্তু ভালো কাজ করার আশায় বেশি বিরতিতে পরতে হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তুষি জানান, আগেরে চেয়ে তিনি অনেক ব্যাস্ত।

তুষি বলেন, ‘আগের চেয়ে অনেক ব্যস্ততা বেড়েছে। আমি যাদের পরিচালনায় কাজ করতে চাইতাম, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বেড়েছে। অনেকে আবার আমাকে মাথায় রেখে কাজ করতে চাইছে। আমার মনে হয় এটাই আমার অ্যাচিভমেন্ট।’