বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মর্মান্তিক ভিডিওটি দেখে ভাষা হারিয়েছেন জয়া

  •    
  • ২৩ মে, ২০২১ ১৪:১৭

ক্যাপশনে জয়া লেখেন, ‘এই ভিডিওটি দেখে আমার ভাষা হারিয়ে গেছে। আমরা কি মানুষ! এই আমাদের আচরণ! একটা নিরীহ প্রাণীর ওপর এত চরম নিষ্ঠুরতা করতে আমাদের এতটুকু বুক কাঁপল না?

দুই বাংলার তুমুল জনপ্রিয় ও ব্যস্ততম অভিনেত্রী জয়া আহসান। এর বাইরে তার আরও একটি অন্যতম পরিচয় তিনি প্রকৃতি ও প্রাণীপ্রেমী মানুষ। যারা তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফলো করেন, তারা ভালো করেই জানেন সেই বিষয়টি।

গত বছর লকডাউনের পরপর রাস্তার ক্ষুধার্ত কুকুরগুলোর জন্য রাস্তায় খাবার বিলি করেছেন জয়া। তার নিজের পোষা একটি কুকুরও রয়েছে যার নাম ক্লিওপেট্রা। মাঝে মধ্যেই তার ছবিও ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি।

তবে এবার ছুরিকাঘাতে আহত একটি নিরীহ কুকুরের মর্মান্তিক ভিডিও দেখে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলেন না এই অভিনেত্রী।

রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সেই আহত কুকুরের ভিডিও ও এর সঙ্গে জড়িত একজনের ছবি পোস্ট করেছেন তিনি।

ক্যাপশনে জয়া লেখেন, ‘এই ভিডিওটি দেখে আমার ভাষা হারিয়ে গেছে। আমরা কি মানুষ! এই আমাদের আচরণ! একটা নিরীহ প্রাণীর ওপর এত চরম নিষ্ঠুরতা করতে আমাদের এতটুকু বুক কাঁপল না?

‘এই সেদিনও দেখেছি, একটা মা–মেছো বাঘকে তার চোখ না ফোটা তিনটি শিশুর সঙ্গে কিছু মানুষ উল্লাসের সঙ্গে পিটিয়ে মারছে। যেন একটা প্রতিযোগিতায় নেমেছে সবাই, কে কত নিষ্ঠুর হতে পারে।’

মর্মান্তিক সেই ভিডিওটির ঘটনাস্থল উল্লেখ করে জয়া লেখেন, ‘এই ভিডিওর কুকুরটি লালমনিরহাটের আদিতমারীর। সবার বড় আদরের কুকুর। একটা কসাইয়ের দোকানের সামনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল সে। কেন দাঁড়িয়ে ছিল, তারই শাস্তি হিসেবে ছুরি দিয়ে ওকে এফোঁড়–ওফোঁড় করে দেয়া হয়েছে। অতি নিষ্ঠুর এই ঘটনাটি চোখে পড়ার পর এলাকাবাসী ওর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। ঢাকায় প্রাণী কল্যাণ আর অধিকার নিয়ে কাজ করেন রোকসাত হক আপা আমাকে বিষয়টি জানান। আমরা ঠিক করি উন্নত চিকিৎসার জন্য কুকুরটিকে ঢাকায় নিয়ে আসব। আনার আগেই জানতে পারি চিকিৎসা পেয়ে এখন সে আরোগ্যের পথে। আশা করি, ও দ্রুতই পুরো সুস্থ হয়ে উঠবে।’

তবে কুকুরটিকে যে ব্যক্তি ছুরিকাহত করেছিলেন তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে উল্লেখ করে জয়া লেখেন, ‘যে কসাই কুকুরটিকে নিষ্ঠুরভাবে ছুরিকাহত করেছিলেন, আদিতমারী পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

‘তবে চমকপ্রদ একটা খবর পেলাম গতকাল। ঘটনাটি আরও নজরে এসেছিল পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী জিশান মির্জার। অসহায় প্রাণীর ওপর এমন নিষ্ঠুরতায় তিনি উৎকণ্ঠিত হয়ে ওঠেন। এর পর ২০ মে সেই কসাইকে খুঁজে প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯–এর আওতায় সোপর্দ করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি আটক আছেন। এমন মানবিক একটি উদাহরণ আমাদের দারুণ উৎসাহিত করেছে। ধন্যবাদ, জিশান মির্জা। ধন্যবাদ, আদিতমারী পুলিশ।’

সেই সঙ্গে প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯–এর যথাযথ প্রয়োগ চেয়ে জয়া লেখেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করব এটি যেন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়ে না থাকে। আমরা প্রশাসন, বন বিভাগ এবং দেশের বিভিন্ন থানাগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন প্রাণীদের প্রতি সদয় হয় এবং প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯–এর যথাযথভাবে প্রয়োগ করে।’

সেই পোস্টের সবশেষে প্রাণীপ্রেমী জয়া সবাইকে মানবিক ও প্রাণবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে লেখেন, ‘পুরো প্রকৃতি আর প্রাণিজগৎ নিয়েই আমরা মানুষ। সবাইকে নিয়ে পৃথিবীকে আমরা আনন্দময় করি তুলি। আমরা আরেকটু মানবিক হই, প্রাণবিক হই।’

এ বিভাগের আরো খবর