বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘এ কোন নরক এ পৃথিবীতে’

  •    
  • ১৯ মে, ২০২১ ১১:৫৫

জয়া লেখেন, ‘খবরের কাগজে পড়লাম, গত এক সপ্তাহে ইজরায়েলের নির্মম হামলায় ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এর চার ভাগের এক ভাগেরও বেশি নাকি শিশু। এ কোন নরক এই পৃথিবীতে!’

দুই বাংলার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনয়ের প্রয়োজনে ঢাকা ও কলকাতায় সমানতালে ব্যস্ত থাকেন। এর মধ্যেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব থাকেন জয়া; ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় সামনে নিয়ে আসেন নিয়মিত।

জয়ার পোস্টগুলোতে কখনো নিজের ছবি, কখনো সিনেমার প্রচার আবার কখনো থাকে মানবিক সাহায্যের আবেদন। এ ছাড়া বিভিন্ন দিবসে থাকে তার অভিমত-সংবলিত পোস্ট।

এবার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের অনুভূতি জানালেন এ অভিনেত্রী।

জয়া লেখেন, ‘ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। দেখছি আর নরকের অতলে নেমে যাচ্ছি মনে হয়। ভেঙে ঝুরঝুরে হয়ে যাওয়া বাড়িঘর। তার ওপরে ভাসছে পাক খাওয়া আগুন। আর সারি বাঁধা তরতাজা লাশ।

‘একটু আগেই তারা হাসছিল, খাচ্ছিল, শিশুটি নিচ্ছিল মায়ের আদর।’

জয়া লেখেন, ‘যারা বেঁচে আছে, তারা রক্তমাখা। আগুনের লেলিহান শিখার নিচে ছুটোছুটি করছে। নিজের জীবন বাঁচাতে নয়, ধংসস্তূপের ঝাঁঝরা ইট সরিয়ে সরিয়ে তারা বের করে আনছে চাপা পড়ে থাকা শিশুদের। ওই কচি বাচ্চাগুলো ডুবে ছিল আলো–বাতাসহীন বিভীষিকার তলায়।’

গাজায় ইসরায়েলের ৯ দিনের হামলায় নিহত হয়েছে ২ শতাধিক মানুষ, যাদের মধ্যে রয়েছে ৬০টির বেশি শিশু।

অবরুদ্ধ উপত্যকার শিশুদের পরিণতি নিয়ে গভীর বেদনা প্রকাশ হয় জয়ার স্ট্যাটাসে।

তিনি লেখেন, ‘একটি শিশুকে উদ্ধার করা হলো। ওর পুরো পরিবার পাঁচ মিনিট আগেও মমতায় ঘিরে রেখেছিল ওকে। পৃথিবীতে এখন সে একেবারে একা। ছোট্ট একটা খুকি। এখনই তার পরিবার নেই, দেশ তো ছিলই না।

‘খবরের কাগজে পড়লাম, গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলের নির্মম হামলায় ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এর চার ভাগের এক ভাগেরও বেশি নাকি শিশু। এ কোন নরক এই পৃথিবীতে! তাদের অসহায়তা আর হাহাকারে কণ্ঠ বুজে আসে।’

গাজায় শিশুদের নির্মম পরিণতি নিয়ে ‍উদ্বেগ প্রকাশ করেন জয়া। ছবি: এএফপি

হামাসসহ গাজার সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের আকুতি ছিল জয়ার ক্যাপশনে।

তিনি লেখেন, ‘এই যুদ্ধ থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের এক চিলতে ঘরে ফিরুক। এক জীবনে কি এটা খুব বড় প্রত্যাশা?’

এ বিভাগের আরো খবর