দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়দের মধ্যে অন্যতম সংগীতশিল্পী জেমসের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তরুণ কণ্ঠশিল্পী নোবেল। রাত নয়টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জেমসের কাছে নিজেকে ক্ষমা করে দেয়ার আর্জি জানান তিনি।
নোবেল লেখেন, ‘জেমস ভাই। আমার তো মায়ের পেটের বড় ভাই নাই। যদি থাকতো, আমি তাকে আপনার মতো করেই ভালোবাসতাম, শ্রদ্ধা করতাম।’
নিজের ভুল শিকার করে নোবেল লেখেন, ‘জেনে না জেনে, বুঝে না বুঝে, রাগ অভিমানে, অনেক অন্যায় করে ফেলেছি। গুরু!! যে ভুল আমি করেছি, সে ভুলের ক্ষমা চাওয়ার যোগ্য আমি নই।’
এর পর ক্ষমা চেয়ে নোবেল লেখেন, ‘তবুও, যদি নিজের ছোট ভাই এবং আপনার সবচেয়ে বড় ভক্ত মনে করে আমাকে একটু ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখতেন, আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকতাম।’
এই ক্ষমা চাওয়ার কারণে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিলেন নোবেল। ১৪ মে যখন ‘জেমস কে ওপেন CHALLENGE! একই গান জেমস গাবে, আমিও গাবো!’, ‘ওই জেমস! গান গাবা এক স্টেজে? তোমারে ১০০০ মিউজিশিয়ান দেবো। আর আমি একা একটা মাইক্রোফোন!’, ‘ওই জেমস! ঈদের গান কই? নাকি ভয়েস গেছেগা?’ স্ট্যাটাসগুলো পোস্ট হওয়ার পর নোবেল বলেছিলেন, তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ হ্যাকড হয়েছে এবং স্ট্যাটাসগুলো হ্যাকার লিখেছে।
যদি স্ট্যাটাসগুলো হ্যাকার লিখে থাকে, তাহলে জেমসের কাছে নোবেলের ক্ষমা চাওয়ার কোনো কারণ নেই।
তাহলে কেন তিনি জেমসের কাছে ক্ষমা চাইলেন, জানতে একাধিকবার ফোন করেও নোবেলকে পাওয়া যায়নি। হোয়াটস অ্যাপে প্রশ্ন লিখে পাঠানো হলে, তিনি তা দেখেও কোনো উত্তর দেননি।
প্রশ্ন পাঠানোর দেড় ঘণ্টা পর হোয়াটস অ্যাপে নোবেল ভয়েস এসএমএসে জানান, ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছিল। কিন্তু তার পেজের সিকিউরিটি সিস্টেম দুর্বল হওয়ায় জেমসকে নিয়ে বাজেভাবে লেখার সুযোগ পেয়েছে হ্যাকার। এই দুর্বলতা নিজের মেনে নিয়েই ক্ষমা চেয়েছেন নোবেল।