এফডিসিতে শুরু হয়েছে প্রেম প্রীতির বন্ধন নামের নতুন একটি সিনেমার দৃশ্যধারণ। এটি পরিচালনা করছেন সোলায়মান আলী লেবু। সিনেমায় অভিনয় করছেন অপু বিশ্বাস, জয় চৌধুরী, মিশা সওদাগর। সোমবার (১৭ মে) ছিল সিনেমার প্রথম দিনের শুটিং।
শুটিং সেটে গিয়ে দেখা গেল পরিচালক লেবু তার ‘ওস্তাদ’ দেলোয়ার জাহান ঝন্টুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। নিজের প্রথম পরিচালিত সিনেমার কাজে ‘ওস্তাদ’ থাকবেন না, তা কি করে হয়।
কিন্তু ওস্তাদের জ্বালায় নিজের মতো করে নির্দেশনাই দিতে পারছিলেন না লেবু। প্রথম সিনেমা হওয়ায় বেশ ভালো করে টেবিল ওয়ার্ক অর্থাৎ শট ডিভিশনসহ নানাকিছু করে এনেছেন তিনি। সিনেমাটোগ্রাফার, প্রোডাকশন ম্যানেজারসহ বসে পরিচালক লেবু এ কাজ করেছেন।
কিন্তু টেবিল ওয়ার্ক অনুযায়ী সে কাজ করতে গিয়ে মহা ঝামেলায় পড়েন লেবু। পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু দৃশ্য ধারণের প্রক্রিয়া, ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল এবং ক্যামেরার মুভমেন্টে ভুল ধরেন, নতুন উপায় বের করেন এবং পরিচালককে সে অনুযায়ী কাজ করতে বলেন।
পরিচালক লেবু তার টেবিল ওয়ার্কের ওপর আস্থা রেখে কাজ করতে চান, তাই ‘ওস্তাদ’ এর সঙ্গে মাঝে মাঝেই যুক্তি-তর্কে জড়ান। কিন্তু ঝন্টুর উচ্চকণ্ঠ ও সাড়াশি আচরণের কারণে যুক্তিতে ঠিক থেকেও পরাস্ত হন লেবু। সিনেমাটোগ্রাফার এবং প্রোডাকশর ম্যানেজারও জেষ্ঠ্য পরিচালক ঝন্টুর কথার পিঠে নিজেদের যুক্তি প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হন।
প্রথম সিনেমান শুটিংয়ে সোলায়মান আলী লেবু, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ও সিনেমাটোগ্রাফার। ছবি:নিউজবাংলা
অনেক রকম কথার মধ্যে ঝন্টু এক পর্যায়ে লেবুকে বলেন, ‘তুমি ডিরেক্টরই না। নতুন হিসেবে তোমাকে এ কথা বলতে পারি। টেবিলে বসে ওনেক কিছু করা যায়। সেটা ভালো। কিন্তু স্পটে প্রায়ই সেগুলো পরিবর্তন করতে হয়। পুরো জিনিসটা দেখার পর মনে হয় অন্যভাবে করতে ভালো লাগবে।’
যুক্তি-তর্ক করলেও লেবু তার ‘ওস্তাদ’ এর প্রতি সহনশীল ছিলেন। ঝন্টুর মতো করেই শেষ পর্যন্ত কাজ করছেন তিনি, কিন্তু সেটা অখুশি হয়ে। ‘ওস্তাদ’ এর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তার কথা মেনে নিয়েছেন লেবু। তবে তিনি টেবিল ওয়ার্ক অনুযায়ী কাজ করতে চেয়েছিলেন।
নিউজবাংলাকে লেবু বলেন, ‘একজনের গল্পের কাজ অন্য জন করতে পারবে না। এটা তো ড্রামা। আমি যখন এটা নিয়ে ভেবেছি, তখন আমি সিনেমাটি মনে মনে দেখেছি। সে অনুযায়ী কাজটি করেছি।’
শুটিং সেটে কথা বলছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ও সোলায়মান আলী লেবু। ছবি: নিউজবাংলা
তিনি আরও বলেন, ‘সাগরেদের তো ভুল হবেই। কিন্তু ওস্তাদও তো ভুল করতে পারে। আর ওস্তাদের ভুল হলে যে সাগরেদের কিছু করার থাকে না, সেটা বুঝলাম।’
লেবু-ঝন্টু যখন দৃশ্যধারণের নানা বিষয় নিয়ে যুক্তি-তর্কে ছিলেন, তখন অপু বিশ্বাস, মিশা সওদাগর ও জয়কে অসহায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তারা একে ওপরের সঙ্গে কথা বলেছেন, বসে থেকেছেন। মাঝে মাঝে মিশা সওদাগরকে ওস্তাদ-সাগরেদের কথার মধ্যে ঢুকতে দেখা গেঝে। সেখানে তিনি ঝন্টুর কথা মতো কাজ করার অনুরোধ করেছেন লেবুকে।