ঈদে বন্ধ আছে অধিকাংশ সিনেমা হল। রাজধানীর চিত্রামহল ও বিজিবি সিনেমা হলে চলছে ডিপজল-মৌসুমী অভিনীত ঈদের একমাত্র নতুন সিনেমা সৌভাগ্য। এছাড়া ফার্মগেটের আনন্দতে চলছে জিৎ-নুসরাত ফারিয়ার পুরনো সিনেমা বাদশা- দ্য ডন।
স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখা ছাড়া সীমান্ত সম্ভার ও এসকে টাওয়ারের শাখা চালু রয়েছে। সেখানে প্রদর্শিত হচ্ছে আগে মুক্তি পাওয়া ইংরেজি সিনেমাগুলো।
এই সিনেমাহলগুলোতে ঘুরে জানা গেল চিত্রামহল ও আনন্দতে ঈদেরর দিনের প্রথম শোতে দর্শক কিছু থাকলেও পরের শোগুলো থেকে দর্শক কমা শুরু করেছে।
চিত্রামহলে ঈদের দিন সৌভাগ্য সিনেমাটির টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকার। নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা মিঞা আলাউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন রাতে চিত্রামহলের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা জানাল পনের-ষোল হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। করোনা পরিস্থির মধ্যেই প্রথম শোতে দর্শক ভালোই ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে দর্শকের পরিমাণ কমতে শুরু করেছে।’
ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলে চলছে বাদশা- দ্য ডন সিনেমাটি। সেখানকার এক কর্মী নিউজবাংলাকে জানালেন একই কথা। ঈদের দিন প্রথম শোতে দর্শক কিছু থাকলেও দ্বিতীয় দিনে দর্শক সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে।
মিঞা আলাউদ্দিন এবং আনন্দ সিনেমা হলের কর্মী- দুজনেই জানালেন যে, ভালো সিনেমা বা বড় বাজেটের সিনেমা মুক্তি পেলে আরও কিছু দর্শক পাওয়া যেত।
অন্যদিকে সিনেপ্লেক্সে এই চিত্র কিছুটা উল্টো। রাজধানীর সীমান্ত সম্ভার ও মহাখালীর এসকে টাওয়ারে থাকা স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হচ্ছে গডজিলা ভার্সেস কং এবং রায়া অ্যান্ড দ্য লাস্ট ড্রাগন।
সীমান্ত সম্ভারে সিনেপ্লেক্স শাখায় কিছু দর্শক। ছবি: নিউজবাংলা
সীমান্ত সম্ভারে খোজ নিয়ে জানা গেল ঈদের দিনে দর্শক একটু কম থাকলেও দ্বিতীয় দিনে দর্শক বাড়ছে। সীমান্ত সম্ভারের স্টার সিনেপ্লেক্সে টিকেট কাউন্টারের কর্মী জানালেন, দ্বিতীয় দিনে ৬০ থেকে ৮০ জন করে দর্শক পাচ্ছেন তারা।
সীমান্ত সম্ভারে গডজিলা ভার্সেস কং দেখতে এসেছেন এমন ছয়জন দর্শকের সঙ্গে হয় নিউজবাংলার। তারা প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, ঈদের মধ্যে পরিবার-স্বজনের দেখা করার পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়া হয়। এসবের মধ্যে সিনেমা দেখা একটা উদযাপনের মতো।
ছোট বাচ্চাদের নিয়ে একই সিনেমা দেখতে এসেছিলেন এক অভিভাবক। সময় না মেলায় তারা অবশ্য সিনেমাটি দেখেননি। এছাড়া সিনেমা হলটির পাশেই ফুড কোর্ট, সেখানে অনেক ভিড় দেখা গেছে।
তাদের মধ্যে অনেকেই সিনেমা দেখে বের হয়েছেন, অনেকে আছেন আছেন সিনেমা দেখার অপেক্ষায়।
রাজধানীর অন্য বড় হলগুলোর মধ্যে অন্যতম বলাকা, মধুমিতা, শ্যামলী অনেকদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে।