বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দু বছর হয়ে গেল সুবীর নেই

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৭ মে, ২০২১ ০৯:১৪

৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০১৯ সালে তাকে একুশে পদক প্রদান করা হয়।

কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো, তুমি যে আমার কবিতা, প্রেমের নাম বেদনা, দিন যায় কথা থাকে, একটা ছিল সোনার কন্যা- সিনেমার এই গানগুলো যার কণ্ঠে শ্রুতিমধুর হয়েছে তিনি সুবীর নন্দী।

গানগুলো শুধু জনপ্রিয়ই নয়, দেশীয় সংগীতাঙ্গনের ইতিহাসের অংশ। একইভাবে সুবীর নন্দীও দেশের সংগীতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দু বছর হয়ে গেল সুবীর নন্দী নেই। ২০১৯ সালের ৭ মে ৬৫ বছর বয়সে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। তার স্টুডিও অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে দুখের পর সুখ, প্রেম বলে কিছু নেই, ভালোবাসা কখনো মরে না, সুরের ভুবনে, গানের সুরে আমায় পাবে। অসংখ্য সিনেমায় গান গেয়েছেন এই কণ্ঠশিল্পী।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। মহানায়ক (১৯৮৪), শুভদা (১৯৮৬), শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯), মেঘের পরে মেঘ (২০০৪), মহুয়া সুন্দরী (২০১৫) সিনেমায় গানের জন্য শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার গেছে তার ঘরে। শিল্পকলার সংগীত বিভাগে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৯ সালে তাকে একুশে পদক প্রদান করা হয়।

তৃতীয় শ্রেণী থেকেই তার গানের শুরু। ১৯৬৭ সালে সিলেট বেতার, ১৯৭০ সালে ঢাকা রেডিওতে গান করেন। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্র, গেয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। চলচ্চিত্রে প্রথম গান ১৯৭৬ সালে সূর্যগ্রহণ চলচ্চিত্রে।

১৯৭৮ সালে আজিজুর রহমান পরিচালিত অশিক্ষিত সিনেমায় রাজ্জাকের ঠোঁটে তার গাওয়া ‘মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই’ গানটি জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৮১ সালে প্রকাশ পায় তার একক অ্যালবাম। ‘প্রণামাঞ্জলী’ নামে একটি ভক্তিমূলক গানের অ্যালবামও রয়েছে তার। গানের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ব্যাংকে চাকরি করেছেন সুবীর নন্দী।

এ বিভাগের আরো খবর