পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে টালিউডের অভিনেত্রী ও বিজেপির প্রার্থী পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপ্যাধায় ও তনুশ্রী চক্রবর্তীদের ‘নগরীর নটী’ বলে মন্তব্য করা বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের টুইটের কড়া জবাব দিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ও শ্রীলেখা।
তবে এই প্রসঙ্গে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি পায়েল, শ্রাবন্তী ও তনুশ্রীসহ কেউই।
বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের সেই টুইটের প্রতিক্রিয়ায় অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরাত ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বরাবরই বলে এসেছি বিজেপি নারীর প্রধান শত্রু। এই দল কখনোই নারীকে সম্মান করতে পারেনি, পারবেও না। মেয়েদের ওরা এভাবেই দেখে। তাদের যে সম্মান করা উচিত, সেই শিক্ষাটাই ওদের মধ্যে নেই। সেই জন্যই যোগী আদিত্যনাথ পশ্চিমবঙ্গে রোমিও স্কোয়াডের কথা বলতে পেরেছিলেন।’
এই তিন অভিনেত্রীকে কটাক্ষ ও অবমাননা নিয়ে শ্রীলেখা মিত্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, একজন নারী হিসেবে একই পেশায় যুক্ত অন্য নারীদের এই অবমাননা কী চোখে দেখছেন? প্রশ্ন শেষের আগেই প্রচণ্ড রেগে যান শ্রীলেখা।
তিনি বলেন, ‘ওরা জানত গেরুয়া শিবির নারীদের কী চোখে দেখে। তার পরেও গিয়েছিল কেন বিজেপিতে যোগ দিতে! নিজেদের অপমানের রাস্তা ওরা নিজেরাই তৈরি করেছে। কাউকে কিচ্ছু বলার নেই।’
মঙ্গলবার এই তিন অভিনেত্রীকে দলের টিকিট দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে ‘নগরীর নটী’ বলে মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়।
টুইটবার্তায় তথাগত লেখেন, ‘‘পায়েল, শ্রাবন্তী, পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন)। তাদের টিকিট দিয়েছিল কে? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি?’’
তবে পরে সেই টুইটের একটি নাম সংশোধন করে দেন তথাগত। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সংশোধন: মদন মিত্রর সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন পার্নো মিত্র নয়, তনুশ্রী চক্রবর্তী।’
রাজনীতিতে পোড় খাওয়া এই বিজেপি নেতার মন্তব্য নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছে। বিরোধীদের উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্য করে আগেও অনেকবার সমালোচিত হয়েছেন তিনি।
ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের রাজ্যপাল ছিলেন তথাগত। বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে লড়তে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে টিকিট না দিয়ে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে টিকিট দেয় দল। এ নিয়েও সে সময়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।