বলিউডে বিতর্কের রানি হিসেবে পরিচিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে দেয়া তার বক্তব্যে নিয়ে হয় তুমুল বিতর্ক।
সবশেষ তিনি টুইটারে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের ফল পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে। এর জেরে তার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কট্টর সমর্থক কঙ্গনা প্রায়ই টুইটারে নিশানা করেন বিনোদন জগতের তারকা থেকে শুরু করে রাজনীতিকদের।
গত রোববার পশ্চিমবঙ্গের ভোটের ফল প্রকাশের পর তিনি টুইটবার্তায় বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় শক্তি। যা ট্রেন্ড দেখছি তাতে বাংলায় আর হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নেই।
‘তথ্য অনুযায়ী বাঙালি মুসলমানরা হলো ভারতবর্ষে সবচেয়ে গরিব ও বঞ্চিত। ভালো, আরেকটা কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে।’
এ টুইটের পর মঙ্গলবার দুপুরে স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয় কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট।
২ মে করা কঙ্গনা রানউতের টুইট। ছবি: সংগৃহীত
টুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে কঙ্গনার অ্যাকাউন্টটি বাতিল করা হয়েছে।
কঙ্গনা টুইটারে যেভাবে বিভিন্নজনকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন তা ঠিক নয় বলে আগে থেকেই সরব নেটিজেনরা। নায়িকার অ্যাকাউন্ট স্থগিত হওয়ার খবরে তাই খুশি তাদের অনেকেই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের খবরে বলা হয়, টুইটের জেরে কঙ্গনার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশে অভিযোগ করেছেন আইনজীবী সুমিত চৌধুরী।
তার অভিযোগ, বাংলার আইনশৃঙ্খলার ভারসাম্য নষ্ট করতে চাইছেন কঙ্গনা।
সুমিত চৌধুরী বলেন, ‘বাঙালি এবং বাংলার বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা রানাউত। বিজেপির পক্ষ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অশান্তি ছড়াতে চাইছেন কঙ্গনা।
‘বাংলার আইনশৃঙ্খলার ভারসাম্য করতে এনআরসি এবং সিএএর সমর্থনে কথা বলে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি।’