বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সত্যজিৎ আমাদের আনন্দের পৃথিবী: জয়া

  •    
  • ২ মে, ২০২১ ১১:৫৩

রোববার সকালে ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘বামনদের ভূখণ্ডে তার মাথা ছাড়িয়ে গিয়েছিল সবাইকে। আবার তিনি নিজেও এতটাই উঁচু হয়ে গিয়েছিলেন যে, সবাইকে বামন বানিয়ে ছেড়েছিলেন।’

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী আজ। তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন দুই বাংলার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।

এতে জয়া লেখেন, সত্যজিৎ এর উচ্চতায় অন্যরা বামন হয়ে গিয়েছিল।

রোববার সকালে ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘বামনদের ভূখণ্ডে তার মাথা ছাড়িয়ে গিয়েছিল সবাইকে। আবার তিনি নিজেও এতটাই উঁচু হয়ে গিয়েছিলেন যে, সবাইকে বামন বানিয়ে ছেড়েছিলেন।’

ছোটবেলায় সত্যজিৎ-এর লেখা আর বড়বেলায় তার সিনেমা কতটা প্রভাব বিস্তার করেছিল তা উল্লেখ করে জয়া লেখেন, ‘কিশোরীবেলায় তার লেখায় ছিল আমাদের আনন্দের পৃথিবী। কিছুটা বড়বেলায় তার ছবি খুলে দিয়েছিল আমাদের মন। বাংলা হয়ে উঠেছিল আরও নিজের। বুঝেছিলাম, মানুষের অন্ত নেই।

‘পৃথিবীর এক ভাঙা কোণে ছবি বানিয়ে পৃথিবীর চলচ্চিত্রকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন অনেক উপরে।’

শত বছর পরও সত্যজিৎ-এর সিনেমা প্রাসঙ্গিকতা হয়তো হারাবে না উল্লেখ করে জয়া লেখেন, ‘আজ সত্যজিৎ রায়ের শততম জন্মদিন। আমরা এখনও ফিরে আসছি তার ছবির কাছে। ১০০ বছর পরে বোধ করি আরও বেশি করে ফিরে আসতে হবে।’

১৯২১ সালের ২ মে কলকাতার বিখ্যাত রায় পরিবারে জন্ম সত্যজিৎ রায়ের। বাবা সুকুমার রায় ও দাদা উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী বাংলা সাহিত্যের আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাদের পৈতৃক বাড়ি ছিল বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ জেলার মসুয়া গ্রামে।

সত্যজিৎ-এর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালীতে। এটি এখনও বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম পথ প্রদর্শক।

পথের পাঁচালী, অপরাজিত ও অপুর সংসারকে ‘অপু ট্রিলোজি’ বলা হয়, যা তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কর্ম হিসেবে স্বীকৃত।

চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সত্যজিৎ ছিলেন বহুমুখী। ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তিনি।

দেশ-বিদেশের অনেক বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রশৈলীর অনুসারী। তারা বিভিন্নভাবে সত্যজিৎ রায়ের কাজ দিয়ে প্রভাবিত।

১৯৯২ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সত্যজিৎ রায় হাসপাতালে ভর্তি হন। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে কাটে তার জীবনের শেষ দিনগুলো। সেই বছরের ২৩ এপ্রিল জীবনাবসান হয় কিংবদন্তি নির্মাতার।

বর্ণময় কর্মজীবনে তিনি অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে বিখ্যাত হলো ১৯৯২ সালে পাওয়া অস্কার, যা তিনি সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেন।

২০০৪ সালে বিবিসির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তালিকায় সত্যজিৎ ১৩তম স্থান লাভ করেছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর