করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ব্যাপক সংক্রমণে বিপর্যস্ত ভারত। দেশটিতে টানা নয়দিন ধরে তিন লাখের বেশি মানুষের দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
এই বিপর্যস্ত অবস্থার জন্য ভারত সরকার দায় এড়াতে পারে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও তুলে ধরা হচ্ছে সেই সব খবর। তাই তাতেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের উপর রেগে আগুন হলেন বলিউডের রিভালভার রানি খ্যাত কঙ্গনা রানাউত।
তার দাবি এসব খবরের মাধ্যমে ভারতের ভাবমূর্তি সারা বিশ্বের কাছে ছোট করা হচ্ছে। আর এসব খবর প্রচারে বুদ্ধিজীবীরাও আসকারা দেয়। তাই তাদের ওপরও চটেছেনগ্যাংস্টার–এর এই নায়িকা।
নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্ট করা এক ভিডিতে এসব ক্ষোভ উগড়ে দেন কঙ্গনা।
ভিডিতে কঙ্গনা বলেন, ‘যখনই ভারত কোনো সংকটের মধ্যে পড়ে, তখনই অন্য দেশগুলো আমাদের নিশানা করতে শুরু করে। এমন ভাবে বিষয়টা তুলে ধরা হয় যেন ভারতে বানর থেকে সবাই সদ্য মানুষ হয়েছে।
‘এমন দেখানো হয়, কয়েকজন সাদা চামড়ার মানুষ আসবে এবং আমাদের চাকর বানিয়ে রাখবে। বলে দেবে কখন কী করতে হবে, কী খেতে হবে। শেখাবে কোনটা গণতন্ত্র। যেন এখানকার মানুষের কোনো বুদ্ধি নেই।’
কঙ্গনা দাবি করেন, এসব করতে ভারতের কয়েকজন বুদ্ধিজীবী আসকারা দেয়। আর তারা ভারত সরকারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দা করেন।
টাইম ম্যাগাজিনের লাশের ছবি ছাপা নিয়ে কঙ্গনা বলেন, এইসব লাশের ছবি এখন ভালো বিক্রি হয়। এছাড়াও সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনের কভার স্টোরিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে করোনার ‘সুপারস্প্রেডার’ আখ্যা দেয়া হয়েছে। এই দেখেও ব্যাপক চটেছেন কঙ্গনা।
কঙ্গনার বলেন, ‘এরা বলবে কী ভাবে দেশ চালাতে হয়? এরা কারা? আমেরিকার বহু মানুষ করোনার প্রথম ঢেউতেই ধুয়ে মুছে গিয়েছে। সবাই দেখেছে ইটালিতে কী হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে এখনও হিমশিম খাচ্ছে ইংল্যান্ড। আমাদেরও সমস্যা হচ্ছে নিঃসন্দেহে। কিন্তু অন্য কোনো দেশের মন্ত্রীকে কি অপমান করা হচ্ছে?’
কঙ্গনার দাবি শুধু ভারতেরই ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। আর যারা এটা করছে তাদের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলেও মনে করেন কঙ্গনা।