করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ব্যাপক সংক্রমণে বিপর্যস্ত পুরো ভারত। শনাক্তের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ভারতের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভীষণ ব্যথিত দুই বাংলার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।
এমন বিপর্যস্ত পরিস্থিতে মঙ্গল কামনা করছেন দেবী খ্যাত এই অভিনেত্রী।
এত ক্ষয়, এত মৃত্যু, এত হাহাকারে মনটাকে জাগিয়ে রাখা যেন ভীষণ কঠিন। শনিবার বিস্বাদ মাখা এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেকথাই জানালেন জয়া।
জয়া লেখেন, ‘মনটাকে জাগিয়ে রাখা কী যে কঠিন মনে হচ্ছে আজকাল। এত ক্ষয়, এত মৃত্যু, এত হাহাকার! চারদিকে যেন শুধু একটাই চিহ্ন, বিয়োগের। আমাদের কত না আপনজন উষ্ণ হাতের মুঠো ছেড়ে বিদায় নিচ্ছেন। যারা আমাদের আনন্দের সময়ের বন্ধু, বেদনার সময়ের আশ্রয়, বিপদের সময়ের ভরসা, তারা চলে যাচ্ছেন একে একে।’
অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চলে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে লেখেন, ‘চলে গেলেন সৌমিত্র কাকুর মতো মেঘ–সমান উঁচু একজন মানুষ। চলে গেলেন আরও কত কত কবি, লেখক, শিল্পী। ঢাকায়, কলকাতায় একই অন্ধকার ছবি। সমস্ত ভারতেই করোনার ভয়ংকর থাবায় মানুষ বড় নিঃসহায়।
‘মন খারাপ করা নিউজ ফিডের সোশ্যাল মিডিয়া যেন মৃত্যুর প্রান্তর। খবরের কাগজ হাতে নেওয়ার আগেই বুক ধক করে ওঠে, আজ জানি আবার কে!’
এই বিষাদ মাখা সময়ে কলকাতায় বন্ধু সহকর্মীদের কথা ভীষণভাবে ভাবাচ্ছে উল্লেখ করে জয়া লেখেন, ‘কলকাতায় আমার বন্ধু সহকর্মীদের কথা ভাবি। কতদিন দেখা হয়নি। অসম্ভব কষ্টের একটা সময় পার করছে তারা। একটা করে মন্দ খবর শুনি, আর আমার মনটা নিভে আসে একটু একটু করে।
‘যাদের সঙ্গে এতদিন ধরে কাজ করছি কলকাতায়, পরিচালক–শিল্পী–কুশলী–সহযোগী, শুনি তাঁদের কষ্ট, অসুস্থতা আর বিদায়ের খবর। আমার আলো কমে যায়।’
এ সময়ে মঙ্গল কামনা আর আলো আসার প্রত্যয় ছাড়া আর কিছু করার থাকে মানুষের।
তাইতো জয়া লিখেছেন, ‘আমার কেবলই মঙ্গল কামনা। আলো ফিরে আসুক সবার জীবনে। হতাশার এই অন্ধকারে মন যেন পথ না হারায়। তোমার মুক্তি আর আমার মুক্তি আলোয় আলোয়, এই আঁধারে। বন্ধুরা, মন শক্ত করে বাঁধো। সময় আসছে। আবার আমরা একসঙ্গে, হাতে হাত ধরে, প্রান্তরের শেষ রেখার দিকে ছুটব। ওই রেখাটা পার হতে এখনো যে বাকি।’