ঈদকে কেন্দ্র করে সবসময় মুক্তি পায় দেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাগুলো। ঈদে সিনেমার ব্যবসা ভালো হওয়ায় প্রযোজকরাও এ সময় সিনেমা মুক্তি দিতে বেশি উৎসাহী থাকেন। কিন্তু করোনার কারণে ২০২০ সালের ঈদে মুক্তি পায়নি কোনো সিনেমা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে বিপর্যস্ত ২০২১ এর ঈদ। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে লকডাউন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন ঈদের আগে শিথিল করা হবে লকডাউন।
ধারণা করা হচ্ছে অন্য ব্যবসায়ীদের মতো সিনেমা ব্যবসায়ীদেরও সুযোগ দেয়া হবে ব্যবসা করার জন্য। এখন সিনেমা হল বন্ধ রয়েছে। তবে এই বন্ধ থাকা লকডাউনের জন্য নয় বরং রমজান মাসে দেশের সিনেমা হল এক মাস বন্ধ রাখেন হল মালিকেরা।
সাধারণ সময়ে এই বন্ধের মধ্যে প্রযোজক ও হল মালিকরা সিনেমার বুকিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু করোনার মধ্যে সিনেমা মুক্তি নিয়ে আছে সংশয়। তাই কোনো পক্ষই উৎসাহ দেখাচ্ছে না সিনেমা মুক্তি নিয়ে।
যদি ঈদে সিনেমা হল খোলা থাকে, সেক্ষেত্রে কোন সিনেমা কোন প্রেক্ষাগৃহে বা কয়টি সিনেমা হলে মুক্তি পাবে, তা নিয়ে কথা আগাচ্ছে না কোনো পর্যায়ে।
প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২৮ এপ্রিলের পরেই বোঝা যাবে কী হতে যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেছেন লকডাউন শিথিল হবে। কিন্তু সেই শিথিল কেমন হবে, প্রেক্ষাগৃহের ক্ষেত্রে কেনো নির্দেশনা থাকবে কি না, তা জেনে কাজ শুরু করতে হবে। তবে এটা ঠিক সিনেমা মুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা দেখা যাচ্ছে না।’
কথা ছিল মিশন এক্সট্রিম সিনেমাটি আসবে আসন্ন রোজার ঈদে। কিন্তু এখন তারা নিশ্চিত করে কিছু বলছেন না।
সিনেমার অন্যতম পরিচালক ফয়সাল আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা একটা বছর ওয়েট করলাম। এখনও অপেক্ষা করছি। নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাই না। কারণ আসছি বলে যদি আসতে না পারি সেটা আরও বেশি খারাপ হবে। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে সব।’
একই রকম কথা বললেন ঈদে মুক্তির ঘোষণা দেয়া শান সিনেমার প্রযোজক আজাদ খান। তিনি জানান, কয়েকজন হল মালিক শান সিনেমাটি নিজেদের প্রেক্ষাগৃহে দেখানোর জন্য তার সঙ্গে কথা বলেছেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে সব। আমরা প্রস্তুত আছি।’
এদিকে প্রযোজকরা প্রস্তুত থাকলেও হল মালিকদের মধ্যে নেই তেমন কোনো উৎসাহ। প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশীদ বলেন, ‘আমরা পিরিস্থিতি খেয়াল করছি। ঈদের সিনেমা চালানো নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা বা পরামর্শ আমাদের মধ্যে হচ্ছে না।’
শাকিব খানের বিদ্রোহী এবং ডিপজলের একটি সিনেমা ছাড়া প্রযোজক পরিবেশক সমিতিতেও ঈদের সিনেমা মুক্তির আবেদন জমা পরেনি। প্রযোজক পরিবেশক সমিতি সূত্র জানিয়েছে, ঈদে সিনেমা মুক্তি দিতে চাইলে ঈদের কয়েকদিন আগে আবেদন করলেও সিনেমা মুক্তি দেয়া যায়।
তাছাড়া এখন সিনেমা কপি করতে বেশি সময়ও লাগে না। তাই পেনড্রাইভ বা হার্ড ড্রাইভে সময়ের মধ্যেই নির্দিষ্ট প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা পাঠানো সম্ভব হয়।
প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্তে ঈদের সিনেমা মুক্তি দিতে চাইলে সেটি সম্ভব হবে।