কোনো কবি এই চোখ দেখলে হয়তো তার গভীরে অনেক কবিতা খুঁজে পেতেন। নেট দুনিয়ার মানুষ কবি না হয়েও কম যাচ্ছে না। মন্তব্যে জানাচ্ছে মনের কথা।
নায়িকার ছবিতে কেউ দিয়েছে আগুনের সাইন, কেউ বলেছে ‘মেয়েটার চোখে অসম্ভব মায়া’, ‘অভিজাত সুন্দর’, ‘মা রে মা, এত্ত সুন্দর’ বলে অনুভূতি প্রকাশ করেছে কেউ।
এমন আরও আশিটির মতো মন্তব্য আছে। সেখানে নায়িকা, অভিনেত্রী, মডেল নাজিফা তুশির সৌন্দর্য সেঁচে শব্দ বের করে মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা।
প্রায় ২০ ঘণ্টা হয়েছে, তুশি চারটি ছবি দিয়েছেন ফেসবুকে। সেই ছবিতে নায়িকার যে আবেদন প্রকাশ পাচ্ছে, তা যেন বইতে পারছেন না নেটিজেনরা। অল্প আলোয় তোলা ছবিতে নায়িকাকে আবিষ্কার করার আকাঙ্ক্ষা পেয়ে বসেছে দর্শকদের।
ছবিতে দর্শকরা আরও অনেক কিছু খুঁজলেও সবাই কিছুক্ষণের জন্য হলেও স্থির হয়ে যাচ্ছেন নায়িকার চোখে। যেন সব জাদু এসে জমেছে নায়িকার সাদা-কালো বিন্দুতে। কপালের ছোট টিপ তৈরি করেছে বাড়তি স্নিগ্ধতা।
তুশির এই পোস্টে এখন কোনো ক্যাপশন পাওয়া যাবে না। কারণ, ক্যাপশন মুছে ফেলা হয়েছে। প্রথমে ক্যাপশনে একটি কবিতার লাইন দিয়েছিলেন তুশি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের লেখা সেই লাইনটি হলো, ‘তোমার পতাকা যারে দাও তারে বহিবারে দাও শকতি।’
প্রথমে ক্যাপশনে কবিগুরুর কবিতার লাইন থাকলেও পরে তা সরিয়ে নেন তুশি। ছবি: সংগৃহীত
এই ক্যাপশনে মিল রেখে এক রশিক তার মন্তব্যে কাব্য ছড়িয়েছেন। তুশির চোখে বুঁদ ওই মন্তব্যকারী লিখেছেন, ‘চোখ বহিবারে দাও শকতি।’
এমন আরও নানা বাক্যবাণে, কাব্যগানে মন্তব্যকারীরা অনুভূতি ও ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন ছবিটি দেখে। মূলত সেগুলো নাজিফা তুশির জন্যই।
তুশি অভিনীত প্রথম সিনেমা রেদওয়ান রনি পরিচালিত আইসক্রিম। এরপর তাকে বিজ্ঞাপন, নাটকে দেখা গেছে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে তার অভিনীত ক্লোজ-আপ কাছে আসার গল্প নাটকটি আসে আলোচনায়। তুশি অভিনীত হাওয়া সিনেমাটি আছে মুক্তির অপেক্ষায়।