বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুক্তিযোদ্ধা কবরী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ২১:২৭

তিনি জানান, সেসময় ভারতের বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রিয় ও বিখ্যাত সব সংগীত পরিচালক, সংগীত শিল্পী ও অভিনয় শিল্পীদের সঙ্গে সভা-সমাবেশ করেছেন কবরী। সেসব অনুষ্ঠানে বলেছেন দেশের কথা।

মুক্তিযুদ্ধের সময় কবরীর বয়স ২১। তিনি তখন বিবাহিত এবং সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকাও। ততোদিনে অনেক জনপ্রিয় সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।

সেই জনপ্রিয় নায়িকা দেশের জন্য কাজ করেছেন মুক্তিযুদ্ধেও। যুদ্ধ শুরু হলে ১৯ এপ্রিল ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি চলে যান কবরী, সঙ্গে পুরো পরিবার। সেখান থেকে পাড়ি দেন ভারতে।

শিল্পী হিসেবে তিনি কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, সে গল্প তিনি বলেছেন একাধিক সাক্ষাৎকারে।

কবরী বলেন, ‘১৯৭১ সালে একজন সাধারণ নাগরিক এবং শিল্পী হিসেবে আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম৷ বাবা, মা, ভাই-বোন, সম্পদ, লোভ-লালসা সবকিছুর মায়া ত্যাগ করে আমি ভাষণ দিয়েছিলাম এবং জনসম্মুখে কাঁদছিলাম।

‘দেশের মানুষের ওপর পাকিস্তানি বাহিনী যেভাবে হত্যা-নির্যাতন চালাছিল সে কথা মনে করেই আমার চোখে পানি এসে যায়। আর সবার মতো আমারও চাওয়া ছিল এই বর্বরতার হাত থেকে যেন আমার দেশের মানুষ অতি দ্রুত রক্ষা পায়৷

‘সেজন্য আমি মানুষের কাছে, বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছিলাম। তার পরিণতি কী হতে পারে, সেসব নিয়ে কোনো ভাবনা একেবারেই মনে আসেনি।’

কবরী কলকাতা গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন সভা-সমিতি ও অনুষ্ঠানে কথা বলেন। আয়োজন করেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সংবাদমাধ্যমে তখনকার স্মৃতি তুলে ধরে কবরী বলেন, ‘কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে আমি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছিলাম৷ কীভাবে আমি আমার মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে ছেড়ে এক কাপড়ে সেখানে পালিয়ে গিয়েছিলাম, সেই ঘটনাই বলেছিলাম সবাইকে। এভাবে আমি বিশ্ববাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানাই। তারা যেন আমার দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য, আমার মা-বোনকে বাঁচানোর জন্য পাশে দাঁড়ায়৷ একথা বলতে বলতে আমি কেঁদে ফেলি এবং জ্ঞান হারাই।’

তিনি জানান, সেসময় ভারতের বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রিয় ও বিখ্যাত সব সংগীত পরিচালক, সংগীত শিল্পী ও অভিনয় শিল্পীদের সঙ্গে সভা-সমাবেশ করেছেন কবরী। সেসব অনুষ্ঠানে বলেছেন দেশের কথা।

এভাবে মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ ও পোশাক সংগ্রহ করতেন কবরীসহ আরও অনেকেই। তার আকুতি ভারতের আকাশবাণী থেকে মাঝে মাঝেই সম্প্রচার হতো৷

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কবরী জেনেছেন যে, সেই ভাষণ তার মা-বাবাসহ বাংলাদেশের অনেক মুক্তিযোদ্ধারাও শুনেছিলেন। স্বাধীন দেশ, পতাকা পেয়ে গর্বের শেষ ছিল না কিংবদন্তি এই অভিনেত্রীর।

এ বিভাগের আরো খবর