বিশিষ্ট সংস্কৃতিকর্মী, রবীন্দ্রসংগীতের স্বনামধন্য শিল্পী ও গুরু, মিতা হকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। কেরানীগঞ্জের ভাওয়াল মনোহরিয়া গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মিতা হকের পিতা, প্রখ্যাত সাংবাদিক রেজাউল হকের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে তাকে। বাদ জোহর মিতার জানাজা হয় আটি ভাওয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে।
কিডনি সমস্যাসহ কোভিড পরবর্তী নানা শারীরিক জটিলতা ছিল মিতা হকের। রবিবার ভোর ৬টা ২০ মিনিটে প্রয়াত হন এই সংগীতসাধক।
তাঁর অনেক শিষ্য-ভক্ত ও সহযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা জানানোর জন্য সকাল ১১টায় মিতা হকের মরদেহ নেয়া হয় রাজধানীর ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে। রবীন্দ্রসংগীতের সুরে তাকে শেষ বিদায় জানান তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা। শ্রদ্ধা জানানো শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেরানীগঞ্জে।
ছায়ানটে শেষবারের মতো মিতা হকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। ছবি: সংগৃহীত
মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে। গত বছর পাঁচেক তিনি জটিল কিডনি রোগে ভুগছিলেন। গান গেয়ে খ্যাতির শিখরে উঠবার পাশাপাশি তিনি আজীবন তার জ্ঞানের রসদ ভাগ করে নিয়েছেন অন্যদের সঙ্গে।
ছায়ানটে শেষবারের মতো মিতা হকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। ছবি: সংগৃহীত
সরল আন্তরিকতা দিয়ে সবার মন জয় করে নেয়া মিতা দেড় দশক শিক্ষকতা করেছেন ছায়ানট সংগীতবিদ্যায়তনে। সংগঠক হিসেবেও দীর্ঘকাল কাজ করে গেছেন তিনি। ছিলেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং ছায়ানটের সদস্য। রাষ্ট্রীয় সম্মাননা হিসাবে পেয়েছেন একুশে পদক।